ডেস্ক রিপোর্ট: আদালতের আদেশ অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৬ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের দাখিল করা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
আগামী বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ১৮ জুন সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার/ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত।
গত ১০ মে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়। এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ১৭ জুন রিট করেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন। ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে এমন আদেশ দেন হাইকোর্ট।