ডেস্ক রিপোর্ট: থানায় গেলেন মেয়ের স্বজনরা অপহরণ মামলা করতে আর বরের স্বজনরা দিলেন বিয়ের প্রস্তাব। সেখানেই বিয়ে হলো তাদের। ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানায় বৃহস্পতিবার পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে বর-কনেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র বলছে, উপজেলার চর মজলিশপুর ইউপির দশআনি গ্রামের ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউপির বৈরাগপুর গ্রামের নুরনবীর ছেলে প্রবাসী ইয়াকুবুর রহমানের প্রায় আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।
সম্প্রতি ইয়াকুব দেশে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বরকে অপছন্দ করেন ছাত্রীর মা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ছোট ভাই ইয়াছিনকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ওই ছাত্রীর বাড়ির আঙিনা থেকে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন ইয়াকুব। ওই সময় কলেজছাত্রীর চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে এসে তাদের আটক করে পুলিশে দেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ছাত্রীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করতে থানায় গেলে ইয়াকুবের বাবা নুরনবী তার স্বজনদের নিয়ে থানায় এসে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে মামলা না করে উভয়পক্ষের লোকজনের সম্মতিতে পুলিশের মধ্যস্ততায় থানা মসজিদে কলেজছাত্রীর সঙ্গে ইয়াকুবের বিয়ে পড়ানো হয়।
বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর ইয়াকুব ও তার ভাই ইয়াছিনের থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই ছাত্রীকে তুলে নেয়ার চেষ্টাসহ তাদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন।