ডেস্ক রিপোর্ট: নীলফামারীর ডিমলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই ব্যক্তি। এর মধ্যে একজন জুয়ায় হেরে এবং অন্যজন ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার সকালে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের পূর্ব ছাতনাই গ্রাম থেকে শামীম (২২) ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাহাগিলি কাচারিপাড়া গ্রাম থেকে মানিক হাজারী (৫০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গাছের ডালের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তারা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শামীম ভ্যান চালাতেন। তার বাবা ঢাকায় রিকশা চালান। এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোহলপাড়া গ্রামের ফরমান আলীর মেয়ে ফেন্সি বেগমকে বিয়ে করেন শামীম। ক্রিকেট জুয়া থেকে লুডু খেলা ও তিন তাসের জুয়ায় বিভোর ছিলেন শামীম।
সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যা আয় করতেন তা জুয়া খেলে শেষ করে বাড়ি ফিরতেন। স্ত্রী ফেন্সি বেগম বার বার জুয়া খেলতে বারণ করলেও শোনেননি শামীম। উল্টো স্ত্রীকে মারধর করতেন শামীম। সোমবার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন তিনি। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত জুয়া খেলে টাকা শেষ করে বাড়ি আসেন শামীম। বুধবার সকালে বাড়ির পেছনে একটি কাঁঠাল গাছে শামীমের মরদেহ ঝুলতে দেখেন এলাকাবাসী।
ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, খবর পেয়ে সকালে শামীমের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাহাগিলি কাচারিপাড়া গ্রামের মৃত গঙ্গা হাজারীর ছেলে মানিক হাজারী শ্রমিক ছিলেন। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি।
মানিক হাজারীর ছেলে ভ্যানচালক মিথুন হাজারী বলেন, আমার বোনের বিয়ের সময় বাবা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছেন। কিন্তু কিছু টাকা পরিশোধ করা হলেও ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এ নিয়ে পাওনাদারেরা চাপ দিচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাবা। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির পেছনে একটি গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বাবা।
কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি হারুন অর রশীদবলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।