শেখ হাসিনা চাইলে আবারও সাধারণ সম্পাদক থাকতে চান কাদের

প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
ছবি সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট: দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা থাকতে বললে আবারও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকতে চান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এক প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন, সভাপতি অপরিবর্তিত এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনার নাম শোনা যাচ্ছে। আরও কয়েকজনের নামও আসছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের পার্টিতে আমাদের সভাপতি পার্টির সুপ্রিমও শেখ হাসিনা। আমাদের পার্টিতে বারে বারে যেটা হয় দলের কাউন্সিলরা সব সময় নেতৃত্ব নির্বাচনে নেত্রীর মাইন্ড সেটের ওপর সবকিছু ছেড়ে দেন। জেনারেল সেক্রেটারি পদটি পার্টির সুপ্রিমওর নির্দেশনায় চলে। এখানে প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবার আছে।’

তিনি বলেন, ‘নেত্রীর ইচ্ছার বাইরে আসলে কিছু হয় না। নেত্রী জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে যাকেই চয়েজ করেন আওয়ামী লীগের কর্মী-কাউন্সিলররা তার প্রতি ঝুঁকে পড়েন। আমি ভাগ্যবান মানুষ; আমি আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি হয়েছি। অনেক কর্মী আজীবন ত্যাগ করেও এই পদটি পায়নি। একবার হয়েছি এটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার।’

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘আরেকবার আমি থাকব কিনা এটা নির্ভর করে নেত্রীর ওপর। তিনি নতুন কিছু ভাবতে পারেন। নতুন মুখও চাইতে পারেন। তিনি যেটা চাইবেন সেটাই হবে। আমাকে যদি বলেন তুমি অন্য দায়িত্ব পালন কর, আমার কোনো অসুবিধা নেই।’

‘তিনি যদি বলেন থাকতে, থাকব। তিনি যদি বলেন দায়িত্বের পরিবর্তন হবে, আমার কোনো আপত্তি নেই। নতুন কোনো মুখ আসলে স্বাগত বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আমি এটুকু বলতে পারি, আমার চেষ্টা ও আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি ছিল না। অসুস্থ ছিলাম কিছু দিন। অসুস্থতার পরও আমি দল ও সরকারে সমানভাবে সময় দিচ্ছি। যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানে আমি নিজেকে এনগেইজড করছি। কাজেই আমি আবারও বলছি, এটা আসলে আমাদের সভাপতির ওপর নির্ভর করে, তিনি কাকে নেক্সট জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে পছন্দ করবেন, তিনি যাকে পছন্দ করবেন তার প্রতি আমাদের সবার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘পারসোনালি আমি কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করব না। নেত্রী যাকে ইচ্ছা দেবেন। আমাকে যদি তিনি থাকতে বলেন সেটা তিনি বলতে পারেন। আবার বলতে পারেন বিদায়, আরেকজন আসবে, নতুন মুখ আসবে। ওয়েলকাম, কোনো অসুবিধা নেই।’

গত ১৪ সেপ্টেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। তিন বছর পর পর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয়।