অসহায়দের জন্য ‘ফ্রি খাবার বাড়ি’ চালু

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০
সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: ‘ক্ষুধা লাগলে খেয়ে যান’ স্লোগান নিয়ে ভিক্ষুক, পাগল, পথশিশু ও ভবঘুরে অসহায় মানুষের জন্য যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারনে ‘ফ্রি খাবার বাড়ি’ চালু করা হয়েছে। মানবসেবা হেল্প ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের উদ্যোগে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নাভারন গার্লস স্কুল সংলগ্ন বাদল নার্সারিতে ফ্রি খাবার হোটেলের উদ্বোধন করেন নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান। পরে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিতরণ করা হয় খাদ্য, মাস্ক ও পবিত্র কোরআন শরীফ।

এ সময় শার্শা উপজেলা মানবধিকার কল্যাণ সংস্থার সভাপতি প্রভাষক আসাদুজামান আসাদ, সম্পাদক সেলিম রেজা, চ্যানেল এস টিভির সিনিয়র রিপোর্টার ইসমাইল হোসেন, কালের কণ্ঠের ঝিকরগাছা প্রতিনিধি এম আর মাসুদ, প্রভাষক মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে রান্না করা খাবার দেয়া হয় অসহায়দের মাঝে।

এই হোটেলে বসে বিনা পয়সায় প্রতিদিন দুপুরে ১০০ জন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, পথশিশু, ছিন্নমূল মানুষ, শ্রমিক, ভ্যান-রিকশা চালক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী খেতে পারবেন। দেশে এই প্রথম ভিক্ষুক, পথশিশু ও পাগলদের জন্য ‘ফ্রি খাবার বাড়ি’ চালু হলো।

মানবসেবা হেল্প ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের উদ্যোগে করোনার শুরু থেকে টানা ১৬০ দিন খুঁজে খুঁজে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, পথশিশু, ছিন্নমূল মানুষকে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মাস্কও বিতরণ করা হয়েছে। এতিমদের জন্য প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন এতিম খানায় পবিত্র কোরআন শরীফ খাদ্য ও মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, পথশিশুদের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম থাকলেও দেশের কোথাও পাগলদের জন্য এমন খাবারের হোটেল আছে বলে আমার জানা নেই। এটা অসাধারণ একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এই হোটেলটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিচালনার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, করোনাভাইরাস সবাইকে কি শিক্ষা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে এই করোনা আমাকে অনেক ভালো কিছু দিয়ে গেছে। করোনাকালে অনাহারে থাকা পথশিশু ও রাস্তার পাগলদের জন্য খাবার খাওয়াতে খাওয়াতে এদের জন্য খাবারের এই হোটেলটি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। মানবসেবা হেল্প ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রেরণায় আজ এই খাবার বাড়িটির বাস্তবে রুপ দিয়েছি। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন অনাহারির পাশে থেকে এভাবে খাবার দেয়ার চেষ্টা করে যাব।