ডেস্ক রিপোর্ট: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চাঞ্চল্যকর নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানা হত্যায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে মসজিদের ইমাম তানভির আলম।
শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়লেখা নিম্ন আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হরিদাস কুমারের কাছে ১৬৪ ধারায় তিনি স্বীকারোক্তি দেন।
এর আগে তানভির আলম ১০ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। তানভীর সিলেটের জকিগঞ্জের ছিল্লারকান্দি গ্রামের ময়নুল ইসলামের ছেলে। চার মাস আগে আবিদা সুলতানার পারিবারিক মসজিদের ইমাম হিসেবে যোগ দেন।
বড়লেখা থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াছিনুল বলেন, স্বীকারোক্তিতে ইমাম জানান, বিভিন্ন ইস্যু ও মসজিদের গাছ কাটা নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে পানির ফিল্টারের ডাকনা দিয়ে আবিদাকে আঘাত করেন ইমাম। সেই আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে অজ্ঞান হন আবিদা। পরে তার মুখ ও গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, রিমান্ডে তানভীরের দেয়া বক্তব্য মতে, ভিটিমের মুঠোফোন, সিম উদ্ধার করা হয়। হত্যার পর ঘর তালাবদ্ধ করে রাখে সে। তবে তালার চাবি উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে রিমান্ডে থাকা তানভিরের মা ও স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।’
ওসি আরো বলেন, স্বীকারোক্তিতে একা হত্যার কথা প্রয়োজনে যাচাই-বাছাই করা হবে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।