ধলাই ডেস্ক: ‘এই ওষুধ খেলে শরীরে শক্তি বাড়বে’ বলে নিজের ৮ বছরের মেয়ের মুখে বিষ তুলে দিয়ে নিজেও বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক মা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ভবুকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষু অবস্থায় ওই মা ও মেয়েকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কামুক্ত না হওয়ায় তাদের ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই মায়ের নাম মৌসুমী আজাদ (২৬)। তিনি ওই গ্রামের জনৈক লিটন মোল্লার স্ত্রী। তাদের মেয়ের নাম ফায়জা ইসলাম। শিশুটি স্থানীয় একটি কেজি স্কুলের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বিষপানকারী ওই মা ও শিশুর স্বজনরা জানান, মৌসুমী আজাদের স্বামী লিটন মোল্যা একজন ব্যবসায়ী। তিনি ভবুকদিয়া বাসস্ট্যান্ডে হার্ডওয়্যারের দোকান করেন। সাংসারিক বিষয় নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য চলছিল। ‘এই ওষুধ শরীরে শক্তি বাড়বে’ এ কথা বলে ফায়জাকে বিষ পান করতে দেয় তার মা মৌসুমী। তিনি নিজেও ওই বিষ পান করেন। এরপর তারা দুইজন অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
বিষপানকারী মৌসুমী আজাদের দেবর টিটো মোল্লা বলেন, ফায়জা মোটামুটি সুস্থ রয়েছে। ওর মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংসারে টুকিটাকি ঝগড়া হতে পারে। আর সেই কারণে ভাবি এমন কাজ করবেন আমরা ভাবতে পারিনি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু ফায়জা জানায়, তার মা তাকে বলেছে- তোমার বাবা বাজার থেকে এই ওষুধটি পাঠিয়েছে। এটা খেলে অনেক শক্তি হয়। তাকে খাইয়ে দিয়ে তার মাও তা খায়।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা জানান, কতোটুকু পরিমাণ বিষ ওই শিশু ও তার মা সেবন করেছে তা বলতে পারছেন না স্বজনরা। শিশু ফায়জাকে আমরা ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছি। আর তার মাকে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।