ধলাই ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় চার মাস ধরে ফাঁকা পড়ে আছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। সৈকতে নেই জেট-স্কি বা গোসল করার অন্যান্য সামগ্রী। এতে বেকার সময় কাটাচ্ছেন এখানকার হাজারো ব্যবসায়ী ও কর্মচারী। এরই মাঝে আশার আলো দেখাচ্ছে সৈকতে ভেসে আসা হীরা-স্বর্ণের বিভিন্ন গহনা।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেট-স্কির চালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকাররা খুঁজে বেড়ান স্বর্ণ। যা নতুন করে কক্সবাজারের মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে হকার ও বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ীরা নেমে পড়েছেন স্বর্ণের খোঁজে। দিন শেষে মিলছে স্বর্ণের আংটি, চেইন বা তার চেয়ে বেশি কিছু। কিন্তু রহস্যজনক কারণে অনেকে প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না কী পাচ্ছেন তারা।
ডাব ব্যবসায়ী জসিম বলেন, প্রতিদিনই স্বর্ণের খোঁজে সৈকতে আসা হয়। দুইটি আংটি পেয়েছি। এখনো স্বর্ণ পাওয়ার আশায় রয়েছি।
একই অবস্থা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে একটি আংটি পেয়েছি। পরে শুনি সেটি হীরার আংটি। ২৫ হাজার টাকা দিয়ে সেটি একজন কিনে নিয়েছেন। লকডাউনে টাকা খুব কাজে আসছে। কাজ না থাকায় প্রতিদিন সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে আসা হয়।
গলার চেইন পেয়ে মহাখুশি রহিম উদ্দিন। তিনি বলেন, মূলত এগুলো বিভিন্ন সময় পর্যটকদের কাছ থেকে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। এতে অন্য কোনো কারণ নেই।
পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা মোয়াজ্জেমের মতে, যদি এখানে স্বর্ণের রেনু হয়। তাহলে এটি আমাদের জন্য ভালো একটি সম্ভাবনার কথা। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। না হলে এত মানুষ কেন সৈকতে স্বর্ণের জন্য নামবে।