কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ভাদাইর দেউল গ্রামে ছেলে হারানোর ১৩দিনের মাথায় আগুনে মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গত ৩ ফেব্রæয়ারি বিধবা নারী নুরজাহানের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে রং মিস্ত্রি নুর ইসলাম মোল্লা রোগভোগে মারা যায়। আর ১৫ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যা রাতে তার বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়। ঘটনার পর থেকে খোলা আকাশের নিচে ছিলেন বিধবা নারী নুরজাহান বেগম। এ ধরণের মানবিক প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহাসন কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হককে সাথে নিয়ে নিজে এসে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করলেন ঘরপুড়া নারীকে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টায় মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ভাদাইর দেউল গ্রামে ঘরপুড়া নারী নুরজাহানের বাড়িতে আসেন। এসেই তিনি বিধবা নুরজাহানকে বলেন, সকালে পত্রিকায় প্রকাশিত এ মানবিক প্রতিবেদন পড়েছেন। তাই তিনি তাকে (নারীকে) দেখতে এসেছেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা নুরজাহান বেগমের হাতে প্রদান করেন। তার সাথে বিভিন্ন সামগ্রীর মনন্বয়ে দুই বস্তা শুকনো খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ, নারী সদস্য শারমিন বেগম চৌধুরী ও সদস্য দিলদার আহমেদ।
আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের পর মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, গণমাধ্যমে এ মানবিক প্রতিবেদন পড়েই তিনি এখানে এসেছেন। এ অসহায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবার যেহেতু রেলওয়ের বন্দোবস্তকৃত ভ‚মিতে আছে সেহেতু তাদের জন্য কমপেক্ষ ৫ শতক খাস জমি বের করে সেখানে বসতঘর করে দেওয়া হবে। আর এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হককে।
শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ বলেন, আপাতত ফুলতলী ট্রাষ্ট থেকে এ স্থানেই শীঘ্রই একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।