কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে কৃষিজমিতে ট্রাক্টরযোগে হাল চাষাবাদ করে না দেয়ায় একই এলাকার প্রতিপক্ষের হামলায় চাচা-ভাতিজাসহ তিন জন আহত ও ট্রাক্টর ভাঙ্গচুর করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত ট্রাক্টর চালককে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শানুর মিয়া বাদি হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গত ৩১ আগষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রঘুনাথপুর গ্রামের মুকিত মিয়ার কৃষি জমিতে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, রঘুনাথপুর গ্রামের মুকিত মিয়ার জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষাবাদ কালে পার্শ্ববর্তী নিত্যানন্দপুর গ্রামের মতাই মিয়া তার জমিতে হাল চাষ করার জন্য ট্রাক্টর চালক আনোয়ারকে অনুরোধ করেন। পূর্বে হালের চাষকৃত টাকা না দেয়ায় এবং সময়ের অভাবে আনোয়ার মতাই মিয়ার জমিতে হাল চাষ করতে পারবে না বলে জানান। তখন মতাই মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। কিছুক্ষণ পরেই মতাই মিয়া তার সহযোগী ও আত্মীয়দের মধ্যে মখলিছ মিয়া, হারিছ মিয়া, এরাজ মিয়া, লতিফ মিয়াকে নিয়ে এসে দা, লোহার রড দিয়ে হামলা চালিয়ে আনোয়ার মিয়া (৩৫) কে গুরুতর আহত করে।
খবর পেয়ে আনোয়ার এর আত্মীয় স্বজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা অস্ত্রযোগে হারুন মিয়া (৫৫), শানুর মিয়া (৫৪) কে আক্রমণ করে আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা হাল চাষের ব্যবহৃত ট্রাক্টর ভেঙ্গে ফেলে। গুরুতর আহত আনোয়ার মিয়াকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শানুর মিয়া বাদি হয়ে মতাই মিয়াসহ ৫ জনকে আসামী করে গত শনিবার কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে শানুর মিয়াসহ গ্রামের ওয়াতির ইসলাম, হাজী মো. তোয়াহিদ মিয়া, মুকিত আলী অভিযোগ করে বলেন, মতাই মিয়া লম্বা ও ধারালো দা নিয়ে আনোয়ারের উপর হামলা চালিয়েছে। হামলাকারী মতাই এর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে এবং লম্বা দা নিয়ে ঘুরাঘুরি এলাকায় আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে বলে তারা দাবি করেন।
অভিযোগ বিষয়ে মতাই মিয়া বলেন, ট্রাক্টর চালক আনোয়ারকে দ্বিতীয় বারের মতো আমার জমিতে হালচাষ করে দিতে বললে সে রাজি হয়নি। ট্রাক্টরের মালিকের কাছে গিয়েও বলেছি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির সময় আনোয়ার কুদাল নিয়ে আক্রমনের চেষ্টা করলে আমি প্রতিহত করলে সে আহত হয়।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার এসআই শহীদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।