স্টাফ রিপোর্টার: সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সর্বত্র গত চার পাঁচ দিন থেকেই হঠাৎ করেই তীব্র কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। কুয়াশার দাপটে স্হবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিকে ঘনকুয়াশার কারণে মাত্র ১৫ মিটার দূরের গাড়ির বাতি গুলো ঝাপসা দেখাচ্ছে। এতে দূর্ঘটনার আশংকা বেড়েছে অনেকাংশে। শীতের তীব্রতায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়া, সর্দি জ্বর ও ডাইরিয়া রোগীর দিন দিন বেড়ে চলেছে। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে দ্বারস্থ হচ্ছেন প্রাইভেট মেডিকেল গুলোতে। এদিকে, সন্ধার পর ছিন্নমূল মানুষগুলোকে পথের ধারে খড়-কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবাড়ন করতে দেখা গেছে। দুপুর গড়িয়ে গেলেও সূর্যের মুখ দেখা মিলছেনা। ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। ঠাণ্ডায় ঝড়োসড়ো হয়ে পড়ছেন পথের ধারে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষরা শীতে কাতর হয়ে পড়েছে। তাই শীত নিবাড়নের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে তারা যাচ্ছেন ফুটপাতের দোকান গুলোতে। এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। হঠাৎ করে ঘন কুয়াশা আর শীত বেড়ে যাওয়ায় মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত ঝড়েছে কুয়াশা। শীতে সাধারন মানুষ বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও কর্মজীবীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। ঘন কুয়াশার কারণে বাহিরে যেতে পারচ্ছে না খেটে খাওয়া মানুষগুলো। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা কমে শীত আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শুকতার এ্যানি জানান, গত ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন যার অধিকাংশই শিশু।