স্টাফ রিপোর্টার: ভারত- বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও প্রাচীন। দুই দেশের সংস্কৃতি অভিন্ন ও এক। এ সম্পর্ক আরও সু-দৃঢ় হচ্ছে। বাংলাদেশে মণিপুরীদের সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ। বিশেষ করে মনিপুরী থিয়েটারের নাটক দেশ ও দেশের বাইরে খ্যাতি লাভ করেছে। তাদের নাট্য চর্চার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ভারতীয় হাই কমিশন মৌলভীবাজারের প্রত্যন্ত গ্রাম আদমপুরের ঘোড়ামারায় ৫৬ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে একটি স্টোডিও মণিপুরী নটমন্ডপ নির্মাণ করে দিয়েছে। এই নটমন্ডপে আরও প্রচুর কাজ বাকি রয়েছে। এসব কাজেও ভারতীয় হাই কমিশন মণিপুরী থিয়েটারের পাশে থাকবে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টায় ঘোড়ামারা গ্রামে মণিপুরী থিয়েটারের স্টোডিও নটমন্ডপের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতি রীভা গাঙ্গুলী দাস। মণিপুরী থিয়েটারের নির্বাহী প্রধান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তার আগে অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতি রীভা গাঙ্গুলী। গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী ও সাংসদ, নাট্য ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার এল কৃষ্ণমুর্তী ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের প্রভাষক তামান্না রহমান।

অনুষ্ঠানে কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২জন অধ্যাপকসহ ছাত্র-ছাত্রীদের একটি দলও দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় হাই কশিনার আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তার প্রমাণ পাওয়া যায় এ দেশের ঈদ ও দূর্গা পূজাসহ বিভিন্ন উৎসব দেখলে । বাংলাদেশের মাঝে সিলেট বিভাগ একটি গরুত্বপূর্ণ স্থান। দুই দেশ আরও কাছাকাছি এসে দুই দেশের সামাজিকতা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা বাণিজ্যের আরও উন্নয়ন হচ্ছে। ভারতীয় হাই কমিশনার আরও বলেন, ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যের সিলেটের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের সু- সম্পর্ক রয়েছে। এ ব্যবসা বানিজ্য আরও তরান্বিত করতে দুই দেশ একযোগে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় স্থানে সীমান্ত হাট হচ্ছে। প্রধান অতিথি ভারতীয় হাই কমিশনার নট মন্ডপের দরজার ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্টোডিওর দ্বার উম্মোচন করেন। শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঢুল ও মৃদঙ্গ বাজনার মাধ্যমে মণিপুরী শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাতে মণিপুরী থিয়েটারের শিল্পীরা একটি নাটক মঞ্চায়ন করে।