কমলগঞ্জে ল্যাম্পি স্কিন রোগে ৪ শতাধিক গবাদি পশু আক্রান্ত

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: চলমান করলো পরিস্থিতির মধ্যে এবার নতুন করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষকের মাঝে দেখা দিয়েছে ল্যাম্পি স্কিন রোগের আতংক।

ল্যাম্পি স্কিন নামের একটি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কৃষকদের একমাত্র সহায় সম্বল গৃহপালিত পশু । উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ রোগে আক্রান্ত গরুর গায়ে প্রথমে বসন্তের মতো গুটি দেখা যায় ।

ল্যাম্পি স্কিন নামের এই রোগে আক্রান্ত কমলগঞ্জ পৌরসভার গোপালনগর,সদর ইউনিয়নের নারায়ণপুর, মাধবপুর ইউনিয়নের নোওয়াগাঁও, বদলেরগাঁও,মাঝেরগাঁও,ছয়ছিড়ি,মদনমোহনপুর,আদমপুরের জালালপুর মধ্যভাগসহ বেশ কয়েকটি এলাকার গরু ।

এ রোগে আক্রান্ত গরুর গায়ে প্রথমে বসন্তের মতো গুটি দেখা যায়। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও চা বাগানগুলোতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামে অনেক গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রতিষেধক না থাকায় উপজেলা জুড়ে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

কমলগঞ্জ পৌরসভার গোপালনগর গ্রামের সুয়েব আহমেদ, মাধবপুর ইউনিয়নের নোওয়াগাঁও গ্রামের কামাল বক্স,মঈনুল ইসলাম,সোহেল মিয়া, পারুয়াবিল গ্রামের মাসুক মিয়া,মাঝেরগাঁও গ্রামের রাধাকান্ত সিংহ, মদনমোহন পুর চা বাগানের আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, এ রোগে তাদের আক্রান্ত গবাদি গরুর গায়ে প্রথমে বসন্তের মতো গুটি দেখা যায়। দু-এক দিনের মধ্যেই গরুর পুরো শরীরে থাকা গুটিগুলো ক্ষতে পরিণত হয়। এ সময় গরুর শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা দেয় এবং গরু খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। অনেক সময় গরুর বুকের নিচে পানি জমে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ক্ষতস্থান পঁচে গিয়ে সেখান থেকে মাংস খসে খসে পড়ে।
বদলেরগাঁও গ্রামের নিশিকান্ত সিংহ, নোওয়াগাঁও গ্রামের সাবাজ মিয়া জানান,এ রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের দুটি গরু মারা গেছে। সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা কিংবা রোগের লক্ষণ জানা না থাকায় বেশ কিছু গরু ইতিমধ্যে মারা যাচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোন সহযোগিতা মিলেনি,তাই গ্রাম্য পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করেও গরুগুলোকে বাঁচানো যাচ্ছেনা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার হেদায়েত হোসেন বলেন, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ল্যাম্পি স্কিন রোগে এ পর্যন্ত ৪ শতাধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে। অন্য রোগে দুটি গরু মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তবে এ রোগে কোথাও গরু মারা যাওয়ার খবর তাঁদের জানা নেই। তিনি আরো জানান, এ রোগের ভ্যাকসিন না থাকায় রোগটির প্রকোপ দ্রুত বিস্তার লাভ করছিল। তবে এখন অনেকটা কমে এসেছে। তারপরও এলাকার মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে,কিন্তু চলমান করনো পরিস্থিতির মধ্যে সভা-সেমিনারের ব্যবস্থা করা যাচ্ছেনা।