স্টাফ রিপোর্টার: একটি সভা শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে সিলেট মহানগর ছাত্রদল নেতা আবুল হোসেন এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামীরা পলাতক থাকলেও নির্যাতিতকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ মে শনিবার রাত সাড়ে ১০ টায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির একটি সভা শেষে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে কুলাউড়ার শরীফপুরের বটতলা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে চাঁনপুর গ্রামে রাস্তায় বাঁশ ফেলে সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে। পূর্ব বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সিলেট মহানগর ছাত্রদল নেতা আবুল হোসেন (৩২) এর মাথা ও ডানহাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় মোটরসাইকেল চালক আলফাজ (৩০) এর শরীরের বিভিন্ন অংশেও আঘাতপ্রাপ্ত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবুল হোসেনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আবুল হোসেন সিলেট মহানগর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবং এলাকায় সমাজকর্মী হিসাবে পরিচিত। এঘটনায় আলফাজ মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে গত ১৭ মে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবুল হোসেন বলেন, একই এলাকার হাবিবুর রহমান শিপু, সজিব মিয়া, সিয়াম আলী, আল-আমীন সহ একটি সন্ত্রাসী চক্র পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাস্তা গতিরোধ করে। এরপর রামদা দিয়ে মাথায় কূপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম ও হাতের আঙ্গুল ফেলে ফেলে। আমার মাথার অবস্থা ভালো নয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হবে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কেউই এখনও গ্রেফতার হয়নি। উপরন্ত পাল্টা হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষন রায় বলেন, এ ঘটনায় সোমবার থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।