কুলাউড়ায় প্রেমিককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করল প্রেমিকার ভাই

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
ছবি সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধায় এক কিশোর প্রেমিককে গাছে বেঁধে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকার ভাই। নিহত প্রেমিকের নাম সুলেমান।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুই নারীসহ একই পরিবারের তিনজনকে আটক করেছে।

নিহতের বড় ভাই ইমান আহমদ বাদী হয়ে রোববার কুলাউড়া থানায় পাঁচ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- রেদওয়ান (২৫), তার বাবা আনু মিয়া (৬৫), মা পিয়ারা বেগম (৪০) ও তার বোন আছলিমা বেগম । রোববার পুলিশ অভিযুক্ত রেদওয়ান বাদে সবাইকে আটক করেছে।

পূর্বফটিগুলি এলাকার আনু মিয়ার মেয়ের সঙ্গে একই এলাকার বাজিত মিয়ার ছেলে সুলেমান মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার রাতে সুলেমান মিয়া আছলিমার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে যায়। এসময় আছলিমার বড় ভাই রেদওয়ান (২৫) তার বোনের সঙ্গে সুলেমানকে দেখতে পেয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।

এক পর্যায়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মাসুক মিয়াসহ আরো লোকজন এসে সুলেমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পরদিন শনিবার রাত ৯টায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলেমানের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক জানান, নিহত কিশোরের সঙ্গে আনু মিয়ার অপ্রাপ্তবয়ষ্ক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন কিশোর সুলেমান মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে মেয়েটির আপন ভাই তাদের দেখে আনু মিয়াসহ কিশোরের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে হাসপাতালে ছেলেটির মৃত্যু হয়।

কর্মধা ইউপির মেম্বার মো. মাসুক মিয়া বলেন, পূর্ব শত্রুতা থাকতে পারে। আমি ছেলেকে উদ্ধার করে দ্রুত মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর সেখান থেকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে সে মারা যায়।

মৌলভীবাজারের এসপি মো. ফারুক আহমদ বলেন, প্রেম নাকি পূর্ব শত্রুতা এ দু’টি বিষয় মাথায় রেখে আমাদের তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত নারীসহ তিনজন আটক রয়েছে। আশাকরি তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।