ধলাই ডেস্ক: ইসলামে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোরআন ও হাদিসে এর গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম যদি ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকেন, তাদের পক্ষ থেকে একটি কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। একটি কোরবানি হলো একটি ছাগল, একটি ভেড়া বা একটি দুম্বা অথবা গরু, মহিষ ও উটের সাত ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ একটি গরু, মহিষ বা উট সাতজন শরিক হয়ে বা সাত নামে অর্থাৎ সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়।
‘কোরবানি’ শব্দটির আরবি ‘কুরব’; আর আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় আত্মোৎসর্গ করাকে বলা হয় কোরবানি। কোরবানি দাতার জন্য রয়েছে ইসলামের বিশেষ কিছু নির্দেশনা। বিশেষ করে পশু কেনার পরও কিছু করণীয় রয়েছে-
* পশুর সেবা-যত্ন করুন। পশুকে অহেতুক কোনো কষ্ট দেবেন না।
* পশু এমন স্থানে বাঁধুন যেনো পথচারীদের কষ্ট না হয়।
* কোনো অবস্থাতেই কোরবানির পশুর প্রদর্শনী করবেন না।
* কোরবানির জন্য ক্রয়কৃত পশুর ওপর আরোহণ করবেন না। এমনকি কোনো কাজে ব্যবহার করাও ঠিক না।
* যদি দুধ দোহন করা হয় তবে গরিব-মিসকিনকে দান করে দিন। আবার দুধের বাজার মূল্য দান করে নিজেও সে দুধ পান করতে পারবেন।
* শরিকে কোরবানি দিলে ভাগিদার সবাইকে সবকাজে সঙ্গে রাখার চেষ্টা করুন।