আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ৮৩০ জন। সংক্রমণ ঠেকাতে অবরুদ্ধ করা হয়েছে প্রায় ২ কোটি মানুষকে।
দেশটির হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহর থেকে গত বছর নিউমোনিয়া সদৃশ্য নতুন এই ভাইরাসটি উদ্ভূত হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে এটি এখন চীনের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।
এরইমধ্যে থাইল্যান্ডে দুইজন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানে একজন করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা সবাই চীনের উহান শহর থেকে নিজ দেশে ফিরেছিলেন ।
বৃহস্পতিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ২৬ জনের মৃত্যু এবং আরও ৮৩০ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৭৭ জনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানিয়েছে তারা।
সন্দেহভাজন আরও এক হাজার ৭২ জনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
চীনা নববর্ষের ছুটির মধ্যে দেশটির কোটি কোটি মানুষ একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াত করলে সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে পারে বলেও কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে।
শনিবার থেকে চীনে লুনার নিউ ইয়ারের সপ্তাহব্যাপী ছুটি শুরু হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামলাতে উহান ও হুয়াংগাং শহরে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বেইজিংয়ে সব বড় উৎসব ও মন্দিরের মধ্যে মেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, চলচ্চিত্র মুক্তি স্থগিত এবং পর্যটনপ্রিয় নিষিদ্ধ নগরী বন্ধ রয়েছে।
হুবেই প্রদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষকে অন্যদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। উহানের সঙ্গে বিমান ও রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যাতায়াত বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ সড়কেও।
উহানের সর্বত্র ফেইসমাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে; কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শহরটি একটি ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে বলে বাসিন্দারা বিবিসিকে জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ে জেনেভায় বৈঠকও করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সূত্র: বিবিসি