ধলাই ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরে জমির বিরোধ নিয়েই ঘরে ঢুকে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও শিশু সাদিয়া আক্তারকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক প্রতিবেশী জাহিদ হোসেন বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় রোববার বিকেলে জাহিদকে প্রধান করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন মরিয়মের ভাই আমির হোসেন। জমি নিয়ে জাহিদের বাবা আবু তাহেরের সঙ্গে প্রবাসী নবী উল্যার বিরোধ চলছিল।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহিদকে আটক করা হয়। জমির বিরোধের জেরে মা-মেয়েকে কোপানোর কথা স্বীকার করেন তিনি। জাহিদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তবে তার সঙ্গে আর কেউ সম্পৃক্ত ছিল কি না সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি।
স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার বশিকপুর ইউপির বালাইশপুর গ্রামে শনিবার রাতে প্রবাসী নবী উল্যার ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মরিয়ম ও তার মেয়ে সাদিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। এতে মরিয়মের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চারটি আঙুল বিচ্ছিন্ন এবং মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। আর সাদিয়ার মাথা ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হয়েছে। মা-মেয়েকে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই মরিয়মকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ও সাদিয়াকে ঢাকা নিউরোলোজী সার্জন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে, রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুরের এসপি ড. এএইচএম কামরুজ্জামান। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।