ধলাই ডেস্ক: রাজশাহী মহানগরীতে পূর্ব সম্পর্কের জেরে এক ব্যক্তিকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে জোরপূর্বক আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মহানগরীর উপশহর এলাকার রহিমের মেয়ে সাবিনা ওরফে রজনী, তার প্রেমিক নগরীর শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম ফুলতলার আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল গাফফার ও নগরীর চন্দ্রিমা থানার নামোভদ্রা এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে রিয়া আক্তার পাখি।
রোববার সকাল ৭টার দিকে তাদের আটক করে পুলিশ। ওই সময় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আদায় করা ৮ হাজার টাকা, ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের আংটি, স্বাক্ষরিত নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ও বাদীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করা মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, সাবিনা ওরফে রজনী মাঝেমধ্যে ঢাকায় যাতায়াত করতেন। সেই সুবাধে সরকারি চাকুরীজীবি ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে রজনী তাকে নিজের বাড়িতে দাওয়াত দেন। রজনীর কথায় শনিবার সন্ধ্যার পর তার বাড়িতে যান ওই ব্যক্তি। এরপর রজনী তাকে চা খেতে দেন। এক পর্যায়ে তিনি ছাড়াও আরেক নারী ও দুই পুরুষ তার কাছে গিয়ে জোরপূর্বক নগ্ন করে ছবি তোলা শুরু করে। পরে এর ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় ভুক্তভোগী ব্যক্তি জানান, তার কাছে ১০ লাখ টাকা নেই। এরপর রজনী ও তার সঙ্গীরা ওই ব্যক্তির কাছে থাকা একটি স্বর্ণের আংটি কেড়ে নেয় ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এরপর বাইরে এসে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেয় তারা।
ওসি আরো জানান, ওই ব্যক্তি ছাড়া পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে রজনী, তার প্রেমিক আব্দুল গাফফার ও পাখিকে আটক করে। ওই সময় তার কাছ থেকে নেয়া টাকা, আংটি, স্ট্যাম্প ও ভিডিও ধারণ করা মোবাইল উদ্ধার করা হয়।