বিনোদন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম শাবানা। ষাট থেকে নব্বইয়ের দশকে বড় পর্দা মাতানো ঢালিউডের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী তিনি। স্বামী-সন্তান-সংসার নিয়ে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি। ১৭ বছর পর্দার আড়ালে থাকা এ তারকা সবশেষ ২০১৭ সালে দেশে এসেছিলেন। দুই বছর পর গেল ২৭ ডিসেম্বর স্বামী ওয়াহিদ সাদিককে নিয়ে দেশে এসেছেন এ অভিনেত্রী।
বিষয়টি শাবানার ঘনিষ্ঠজনরা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, পারিবারিক কিছু কাজের জন্য দেশে এসেছেন শাবানা। আরো সপ্তাহ খানেক থাকবেন বাংলাদেশে। তারপর আবার ফিরে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে।
চলচ্চিত্রের সোনালি অতীতের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবানা তার ৩৬ বছরের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটান ১৯৯৯ সালে। সন্তানদের উন্নত ভবিষ্যত ও উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে ওই বছরই স্বামীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। শাবানার বড় মেয়ে ফারহানা সাদিক সুমি এমবিএ, সিপিএ পাস করে আগে চাকরি করতেন। পরে তার দুই বাচ্চাকে দেখাশোনার জন্য তিনি চাকরি ছাড়েন।
ছোট মেয়ে সাবরিনা সাদিক বিশ্বখ্যাত ইয়েল ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে শিকাগোর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন। একমাত্র ছেলে শাহীন সাদিক নিউজার্সির রাদগার্স ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করছেন। বর্তমানে সেখানকার স্বনামধন্য ব্লুমবার্ড কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন।
গেল দুই দশক ধরে শাবানা প্রবাসী জীবনযাপন করলেও কোটি ভক্তদের মনে রানী হয়ে আছেন শাবানা। মাত্র আট বছর বয়সে চলচ্চিত্রকার আজিজুর রহমানের হাত ধরে সিনেমায় অভিষেক হয় শাবানার। ১৯৬৭ সালে এহতেশামের ‘চকোরী’ সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। ষাট থেকে নব্বই দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন এ নায়িকা। পরিচালক এহতেশামই তার ‘রত্মা’ নাম বদলে শাবানা রাখেন।
অভিনয় জীবনে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানা। পাশাপাশি ২৫টি ছবির প্রযোজকও তিনি। অভিনয়ের জন্য ১১ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’। জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও ২০০০ সালে রূপালি জগত থেকে নিজেকে আড়াল করে ফেলেন এ নায়িকা। প্রবাস জীবন ফেলে ব্যক্তিগত কাজে বছরে দু-একবার দেশে এলেও চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে বর্তমানে কোনো যোগাযোগই নেই তার।