স্টাফ রিপোর্টার: আমরা কেউ ত্রাণ পাইনাই, কেউ আমাদেরকে দেখতে আসে নাই, টিভিতে, মোবাইলে দেখি বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ, ধনী ব্যক্তিরা খাবার নিয়ে বাড়ী বাড়ী যাচ্ছেন অথচ আজ অনেক দিন হয়ে গেল আমরা কেউ কোন ত্রাণ পাইনি। কেউ আমাদেরকে দেখতে আসেনাই। এভাবেই নিজের কথা বলছিলেন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের ৫নং ইউ,পির সড়ইবাড়ী গ্রামের আব্দুল মোমিন।
গৃহকর্মী আমেনা বেগম বলেন দুদিন ধরে না খেয়ে আছি: ঘরে চাল নেই, কোন খাবারও নেই। কেউ ত্রাণ নিয়ে আসেনি? আমি বাজারে বাজারে গিয়ে চাটাই বিক্রি করি, লকডাউন থাকার কারণে কোন জায়গায় বের হতেও পারছিনা।
শুধু আব্দুল মোমিন নয় সড়ইবাড়ী ও বাদে উবাহাটা গ্রামের ৩০/৪০টি পরিবারের একই অবস্থায় দিন কাটছে। করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তাদের জীবনধারণ। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মহিলা সদস্য মোছা: আমেনা বেগম বলেন- আমার এলাকায় অনেক দরিদ্র আছে। আমরা টিভিতে, নেটে দেখতেছি যে, পুলিশ, প্রশাসন বিভিন্ন অসহায় মানুষদেরকে খাবার দিয়ে সাহায্য সহযোগীতা করতেছে কিন্তু আমাদের এখানে কেউ আসে নাই। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কেউ যেন না খেয়ে থাকেনা আমি সবার ঘরে ঘরে খাদ্র সামগ্রী পৌছে দেবো অথচ এখন পর্যন্ত ইউএনও, পুলিশ চেয়ারম্যান কেউই আমাদের এখানে খাবার নিয়ে আসে নাই। এমনকি দেখতে ও আসে নাই।
৫নং সদর, ইউ,পি, চেয়ারম্যান মো: আব্দুল হান্নান বলেন- সরকার থেকে ৫০ পেকেট খাদ্র সামগ্রী পেয়েছি, তারপর ১৩০ পেকেট, পরবর্তীতে আবার ২০০ পেকেট খাদ্যসামগ্রী পেয়েছি এবং ১০০ সাবান ও ১০০ মাস্ক পেয়েছি এগুলোই আমি বিতরণ করেছি।
তিনিও আরও বলেন আমার ইউনিয়নের কাউকে না খেয়ে মরতে দিবো না। আমি যেখানেই খবর পাচ্ছি সেখানেই খাবার পৌছে দিচ্ছি।