আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পোশাকের দোকানের ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেমায় ধারণ করা হয়েছে এক নারী সাংবাদিকের অর্ধনগ্ন ভিডিও। গত ৩১ আগস্ট এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির বৃহত্তর কৈলাসে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপনে ভিডিও ধারণের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন ওই নারী সাংবাদিক। তিনি অভিযোগ করেছেন, দোকানটির মালিক ট্রায়ালের লাইভ ফুটেজ দেখার পাশাপাশি ভিডিও ধারণও করেছেন। তার এ অভিযোগ আমলে নিয়ে দিল্লি পুলিশ তদন্তে নামলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ওই নারীর অভিযোগ, গত ৩১ আগস্ট তিনি বৃহত্তর কৈলাসের এম ব্লক মার্কেটের একটি অন্তর্বাসের দোকানে যান। তিনি বলেন, ‘কিছু জিনিস পছন্দ করার পর এক নারী কর্মীকে ট্রায়াল রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলি। তার দেখানো ট্রায়াল রুমে গিয়ে আমি সবগুলো পোশাক ট্রায়াল দিয়ে দেখি। মিনিট দশেক পরে ওই নারী কর্মী ভিতরে ঢুকে অন্য রুমে যেতে বলেন। কারণ হিসেবে ওই কর্মী বলেন, এই রুমে সিসি ক্যামেরা রয়েছে।’
ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক আরও বলেন, ‘এর মধ্যেই ওই নারী কর্মী প্রায় জোর করে অন্য একটি রুমে গিয়ে ট্রায়াল দিতে বলেন। সেই সময় আমি কার্যত অর্ধনগ্ন ছিলাম। আমি দেখতে পাই, ওই রুমের বাইরেই দোকানের মালিক এবং আরও এক ব্যক্তি বসে আছেন। আমি তাদের দেখেই সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরে ফেলি এবং রুমের বাইরে বেরিয়ে আসি।’
নারী সাংবাদিক বলেন, ‘ওই সময় দোকানদার আমার লাইভ ফুটেজ দেখছিলেন। পরে দোকানদার আমাকে আশ্বস্ত করেন, সব ছবি মুছে ফেলা হয়েছে এবং কোনো কিছুই সেভ করা হয়নি।’
প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছে, ওই দোকানের তথ্যভাণ্ডার ঘেটে আরও অনেক নারীর ট্রায়ালের গোপন ভিডিও পাওয়া গেছে। কারও অজান্তে ছবি তোলার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-সি ধারায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত চলছে।
ভারতে এর আগেও ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরার খোঁজ পাওয়া যায়। ২০১৫ সালে ভারতের সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী, বর্তমান নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি গোয়ার ফ্যাবইন্ডিয়ার শো রুমের ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরা দেখতে পান। খোদ মন্ত্রীর ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরার সন্ধান পেলে তখন অনেক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।