ধর্ম ডেস্ক: ইসলামি বিধান মতে, কোরবানি করা অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। সাহেবে নিসাব তথা সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের কোরবানি আদায় করতে হবে। একটি কোরবানি হলো একটি ছাগল, একটি ভেড়া বা একটি দুম্বা অথবা গরু, মহিষ ও উটের সাত ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ একটি গরু, মহিষ বা উট সাতজন শরিক হয়ে বা সাত নামে অর্থাৎ সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়।
কোরবানির পশু যাচাই-বাছাই করে কিনতে হবে। কারণ কোরবানির পশু হতে হবে দোষত্রুটিমুক্ত। পশুর মধ্যে যেসব ত্রুটি থাকলেও কোরবানি দেওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে-
১. পশু পাগল, তবে ঘাস-পানি ঠিকমতো খায়।
২. লেজ বা কানের কিছু অংশ কাটা, তবে বেশির ভাগ অংশ আছে।
৩. জন্মগতভাবে শিং নেই।
৪. শিং আছে, তবে ভাঙা।
৫. কান আছে, তবে ছোট।
৬. পশুর একটি পা ভাঙা, তবে তিন পা দিয়ে সে চলতে পারে।
৭. পশুর গায়ে চর্মরোগ।
৮. কিছু দাঁত নেই, তবে বেশিরভাগ আছে।
৯. পশু বয়োবৃদ্ধ হওয়ার কারণে বাচ্চা জন্মদানে অক্ষম।
১০. পুরুষাঙ্গ কেটে যাওয়ার কারণে সঙ্গমে অক্ষম।
১১. স্বভাবগত এক অণ্ডকোষবিশিষ্ট পশু।
তবে উত্তম হচ্ছে ত্রুটিমুক্ত পশু দিয়ে কোরবানি দেওয়া। ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারা কোরবানি দেওয়া অনুচিত।