আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সেনাবহরকে লক্ষ্য করে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২২ জন সেনা আহত হয়েছে। শনিবার (২৭ মে) প্রদেশটির ডেরা ইসমাইল খান শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সংবাদাধ্যম দ্য ডন – এর প্রতিবেদনে জানানো হয়, শহরের সদর থানার আওতাধীন চেহকান এলাকায় নিরাপত্তা কনভয়কে লক্ষ্য করে মোটরবাইকে করে আসা এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটানোর পর কমপক্ষে ২২ জন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন।
একাধিক সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিস্ফোরণটি ছিল আত্মঘাতী হামলা এবং মোটরবাইকে চড়ে একজন অজ্ঞাত আত্মঘাতী বোমারু নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়কে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। হামলার ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর কমপক্ষে ২২ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
অবশ্য হামলার পর এ বিষয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তা কনভয়টি দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলার মিনজা এলাকায় যাওয়ার পথে আত্মঘাতী হামলার শিকার হয়। অবশ্য আত্মঘাতী ওই হামলার পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়।
এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আহত কর্মীদের ডেরা ইসমাইল খানের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের ওয়ানা পেট্রোল পাম্পের কাছে গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। সূত্রগুলো বলছে, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী পেছন থেকে এগিয়ে এসে কনভয়ের মধ্যে চলে আসে এবং কনভয়ের চতুর্থ গাড়ির সামনে বিস্ফোরণ ঘটায়।
সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, ‘সম্ভবত আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী পেট্রোল পাম্পে নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। আর হামলার স্থান থেকে পেট্রোল পাম্পটি প্রায় ৪০০ মিটার দূরে অবস্থিত।’
হামলার পরপরই জেলা পুলিশ কর্মকর্তা (ডিপিও) আব্দুল রউফ বাবর কায়সরানির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল, নিরাপত্তা বাহিনীসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই এলাকায় যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু করে।