ধলাই ডেস্ক: বন্যার পর বেশিরভাগ জমিতেই শীতকালীন সবজি চাষ করেন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের কৃষকরা। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। এখন সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি। দাম মাত্র এক টাকা হওয়ায় অনেকে গো-খাদ্য হিসেবে গরুকে খাওয়াচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিভাবে প্রতিকেজি ফুলকপি মাত্র এক টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবুও খুচরা ব্যবসায়ীরা কপি কিনছেন না। ফলে লোকসানের মুখে পড়ছেন আড়তদাররা।
সাদুল্যাপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা মুন্না সাহা জানান, কয়েক দিনের তুলনায় এখন প্রতিদিনই কমছে সবজির দাম। তবে সবচেয়ে কমেছে ফুলকপির দাম। পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি ফুলকপির দাম এক টাকা। এরপরও উপজেলার সবজি ভাণ্ডার খ্যাত ধাপেরহাট বাজার ও সাদুল্যাপুর শহরের পাইকারি আড়তে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে না।
উপজেলার জয়েনপুর গ্রামের কৃষক মোস্তফিজার রহমান মোস্তফা জানান, ফুলকপির দাম কমে যাওয়ায় তিনি এখন গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন। প্রতিদিন বাজার থেকে পাইকারি দামে ফুলকপি কিনে এনে গরুকে খাওয়াচ্ছেন। এতে তাকে আপাতত গরুকে ফিড বা ভুসি জাতীয় খাবার দিতে হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান বলেন, এবার উপজেলায় ১১০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকরা। এখান থেকে উৎপাদন হবে প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা শীতকালীন সবজির আশাতীত ফলন পেয়েছেন। এর মধ্যে ফুলকপির দাম একটু বেশিই কমেছে। তবে এরই মধ্যে উৎপাদিত সবজির ন্যায্য মূল্য পেয়েছেন কৃষকরা।
সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…