কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের প্রথম আলো প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জুকে নিয়ে ফেসবুকে দুবাই প্রবাসী এক ব্যক্তি অশালীন মন্তব্য করায় কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু নিজে থানায় উপস্থিত হয়ে এ জিডি দায়ের করেন।
জানা যায়, সাংবাদিকতায় কারো সাথে কোন প্রকার আপোষ না করে চলায় কিছু দিন ধরে একটি মহল সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জুকে পছন্দ করছিলেন না। সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে সারাদেশেরমত কমলগঞ্জেও সাধারণ মানুষজন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
কমলগঞ্জের একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব অসহায় মানুষজনের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। তবে পতনউষার ইউনিয়নের লাঘাটাপারের শতাধিক পরিবার কোন প্রকার ত্রাণ না পেয়ে ত্রাণের জন্য হাহাকার করছিলেন। এসব মানুষজন সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু ও সাংবাদিক নুরুর মেহাইমিন মিল্টনের তাছে ফোন করে সাহায্য কামনা করেন।
গত ১৪ এপ্রিল এ নিয়ে সাংবাদিক নুরুল মোহাইমিন মিল্টনের ফেসবুকে করা একটি পোস্টের উপর সাংবাদিক রঞ্জু গঠনমূলক মন্তব্য করে জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করেছিলেন। এরপর থেকে পতনউষার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অনুসারী একটি পক্ষ ও তাদের বন্ধুরা ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিক রঞ্জুকে আক্রমণ করে ফেসবুকে মন্তব্য করতে থাকে।
আর গতকাল বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাতে কমলগঞ্জ পৌরসভার নগর এলাকার আব্দুল বাছিতের ছেলে দুবাই প্রবাসী ছেলে মো. সাইদুল বাছিত সায়েদ তার নিজস্ব আইডি থেকে সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জুকে অশালীনভাবে কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এ মন্তব্যটি স্কিনশট নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি (রঞ্জু) কয়েকজন সহকর্মী সাংবাদিককে সাথে নিয়ে কমলগঞ্জ থানায় মো. সাইদুল বাছিত সায়েদের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই প্রবাসী মো. সাইদুল বাছিত সায়েদ নিজেকে প্রজন্ম লীগের নেতা দাবি করেন অথচ তার বাবা জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন। এ দিকে কমলগঞ্জের সর্বমহলে প্রিয় শিক্ষক, সাংবাদিক, ক্রিড়া সংগঠক ও সমাজ সেবক মুজিবুর রহমান রঞ্জুকে নিয়ে ফেসবুকে কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় দেশে বিদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ নিন্দার ঝড়ে উঠে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই সততা ও নিষ্ঠার সাথে জীবনটি গড়ে তুলেছি। গায়ে দাগ লাগে সাংবাদিকতায় এমন কাজ কখনও করিনি। নিজে দুই কলেজে শিক্ষকতা করে এখন নিজের গড়া একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল পরিচালনা ছাড়াও ব্যবসা করি। আমি নিয়মিত অসহায় মানুষদের বিশেষ করে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা করে থাকি। এ বিষয়টি সমাজের সর্বস্তর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থাও জানেন। আর একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় কমলগঞ্জের দুবাই প্রবাসী মো. সাইদুল বাছিত সায়েদ আমাকে নিয়ে কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করলো। এতে আমি কিছুটা মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছি। তাই আমি থানায় জিডি করেছি। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তক্রমে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও যোগাযোগ রক্ষা করবো।