
খেলা ডেস্ক: ছন্দে থাকার আভাস তিনি দিয়েছেন আগের দুই ম্যাচেই। বয়স যতই হোক, ব্যাটের ধার যে কমেনি, সেটি প্রমাণ করলেন আরও একবার। ঢাকা পর্বের দুই ম্যাচে অপরাজিত ৩৬ ও ১৬ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন। প্রতিপক্ষ অল্প রান করায় নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি পাকিস্তানি তারকা ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক।
রাজধানী ছেড়ে বন্দর নগরীতে এসে দলকে এনে দিয়েছেন জেতার মতো সংগ্রহ। তবে নিজের অপরাজিত থাকার ধারাটা বজায় রাখতে পারেননি মালিক। আউট হয়েছেন ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে। দারুণ ব্যাট করতে করতে হঠাৎ করেই আলগা শটে ধরা পড়েছেন মিড উইকেট বাউন্ডারিতে।
ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচেই আসরের সর্বোচ্চ ১৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল তারকা সমৃদ্ধ ঢাকা প্লাটুন। তাদের রেকর্ড ভাঙতে এক ম্যাচও সময় নিলো না রাজশাহী। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচেই খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দাঁড় করালো ১৮৯ রানের সংগ্রহ। এতে মালিকের ৮৭ রানের পাশাপাশি রয়েছে রবি বোপারার ২৬ বলে ৪০ রানের ইনিংসের বড় অবদান।
দল হিসেবে ঢাকা প্লাটুনের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটা ঢাকার প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে হলেও, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটা আসরের উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই করেছিলেন সিলেট থান্ডারের বাংলাদেশি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৪৮ বলে খেলেছিলেন ৮৪ রানের ইনিংস।
তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই হয়তো চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম পর্বের প্রথম ইনিংসেই মালিক খেললেন ৮৭ রানের ইনিংস। টস হেরে ব্যাট করতে রাজশাহীর পক্ষে ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেটে আসেন তিনি। খেলেন ইনিংসের ১৮তম ওভারের তৃতীয় বল পর্যন্ত।
মাঝের সময়টাতে খুলনার বোলারদের নিজের মনমতো পিটিয়ে ৫০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কার মারে ৮৭ রান করেছেন মালিক। ইনিংসের চারটি ছক্কার মধ্যে ৩টিই তিনি হাঁকান আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের করা ১৬তম ওভারে।
এর আগে মেহেদি হাসান মিরাজকে দিয়ে ছক্কার শুরু করেন মালিক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ব্যাটিং করেছেন বোপারা। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে এসেছে ৬১ বলে ১০৬ রান। দুইটি করে চার-ছক্কার মারে ২৬ বলে ৪০ রান করেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।