ধলাই ডেস্ক: রংপুরের কাউনিয়ায় ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে চরাঞ্চলের ২শ’ বিঘা জমির বাদাম গাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পচে গেছে কয়েক লাখ টাকার বাদাম। এ পরিস্থিতিতে বাদাম চাষিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এখন তলিয়ে যাওয়া গাছ থেকে ভালো বাদামগুলো তুলে লোকসান কিছুটা কমানোর চেষ্টা করছেন চাষিরা। তবে এসব বাদাম তুলে শুকানোর পর কালো হয়ে যায়। সামান্য পরিমাণ বাদাম ভালো থাকে।
কৃষি বিভাগ জানায়, নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল নাজিরদহ, পল্লীমারী, একতা, ঢুষমারাসহ ২০টি গ্রামে বারি, বিনা ও স্থানীয় কয়েকটি জাতের ৬২৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। খরচ কম ও ভালো ফলন হওয়ায় বছরে দুইবার বাদাম চাষ হয়। কিন্তু এ বছর আগাম বৃষ্টিপাত ও দুই দফা উজানের ঢলে ২শ’ বিঘা জমির বাদাম গাছ তলিয়ে গেছে।
এবার চরনাজিরদহ ও চরঠিকানারহাটে ২শ’ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন বেইলি ব্রিজ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম। প্রতি বিঘায় ১২-১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
তিনি জানান, প্রথম দফা বন্যার আগ মুহূর্তে ১২০ বিঘা জমির বাদাম তুলছেন। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ভারী বর্ষণ ও বন্যায় তিস্তা নদীর পানিতে ৮০ বিঘা জমির বাদাম গাছ পচে গেছে। শুকনো ও পরিপক্ক বাদাম তুলতে না পারায় তার লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
পল্লীমারী গ্রামের আমজাদ হোসেন ও হামিদুর জানান, মাত্র তিন মাসে সামান্য পরিচর্যায় বিঘাপ্রতি ১২-১৫ হাজার টাকা খরচে বাদামের ভালো ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় ৬-৭ মণ বাদাম হয়। বাজারে প্রতিমণ বাদাম ৩০০০-৩৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু এবার ভারী বর্ষণ ও দুই দফা বন্যায় চরাঞ্চলের অনেক জমি তলিয়ে গেছে। লাভের পরিবর্তে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছে বাদাম চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বাদাম লাভজনক ফসল। তিস্তার চরাঞ্চলে পলি ও বালু মাটিতে বাদামের ফলন ভাল হয়। কিন্তু এবার টানা বৃষ্টিপাত ও দুই দফা বন্যায় বাদাম চাষিদের অনেক বড় লোকসান হয়েছে। কয়েকদিন আগে বাদাম তুলতে পারলে ভালো দামে বিক্রি হতো।