ধলাই ডেস্ক: ভোলার বোরহানউদ্দিনে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে দুই বন্ধু।
গুরুতর অবস্থায় ভুক্তভোগী দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় মাসুদ নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে তার সহযোগীকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুরে স্কুলের কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ছাত্রী। এ সময় তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে নেয় তজুমদ্দিন বাজারের দোকান কর্মচারী মাসুদ ও তার সহযোগী। পরে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে দুজন মিলে ধর্ষণ করে।
বিকেল ৩টায় গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে মাসুদ। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হলে রাতে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী জানান, দুপুরে বাড়ি যাওয়ার জন্য স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এ সময় পূর্বপরিচিত মাসুদ তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর অবস্থায় মাসুদই তাকে হাসপাতাল ভর্তি করে।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না।
স্কুলছাত্রীর বাবা ও মা জানান, মেয়ের বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা। বিকেলে থানার ওসি ফোন করে জানান তার মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত মাসুদকে আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়ি তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামে। তিনি তজুমদ্দিন বাজারে একটি থাই গ্লাসের দোকানের কর্মচারী। ঘটনার পর থেকে তার সহযোগী পলাতক রয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় আটকের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন। তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে তথ্য দেবেন তিনি।
সূত: ডেইলী বাংলাদেশ…