ধলাই ডেস্ক: পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক গৃহবধূকে (৩২) বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
স্বজনরা জানান, স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে ওই নারী ঢাকায় বসবাস করেন। দুর্গাপূজা উপলক্ষে একাই আগেভাগে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘরের দরজা খোলা রেখে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হন। এ সুযোগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির নিজাম ও কালিপদ দাস তার ঘরের মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। এরপর গভীর রাতে তাকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড় ও খামচে রক্তাক্ত জখম ও ব্যাপক মারধর করে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে সকালে আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করেন।
তারা আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক লোক হাসপাতালে এসেছে। তারা ভিকটিমের কাছ থেকে ঘটনা শুনেছেন। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মামলা করা হবে।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সেলিনা রহমান জানান, ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি বলা যাবে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তার মোর্শেদ জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গৃহবধূর জবানবন্দী গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।