ধলাই ডেস্ক: পঞ্চগড়ের শিংরোড প্রধানপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে গুলিবিদ্ধ কিশোর শিমুন রায় অবশেষে মারা গেলেন। রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গুরুতর আহতাবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে রোববার বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার রতনীবাড়ি প্রধানপাড়া সীমান্তের ৭৬২নং পিলার এলাকায় বিএসএফের গুলিতে শিমুন রায় (১৬) গুরুতর আহত হয়।
এ সময় ভারতের সাকাতি সীমান্ত ফাঁড়ির একদল বিএসএফ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে বেড়া দিতে নিষেধ করেন।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে এক বিএসএফ সদস্য শিমুনকে খুব কাছে থেকে পেটের মধ্যে গুলি করে চলে যায়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে এবার স্থানীয় চাকলাহাট কেপি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
শিমুনের বাবা পরেশ চন্দ্র রায় বলেন, বিকেলের দিকে ছেলেসহ নিজের জমির পাট ক্ষেতে বাঁশ দিয়ে জালের বেড়া দিচ্ছিলাম। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা পাটক্ষেতে বেড়া দিতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে এক বিএসএফ সদস্যের সঙ্গে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে ওই বিএসএফ সদস্য আমাদের খুব কাছে এসে আমার ছেলের পেট লক্ষ করে গুলি করে চলে যায়। পরে আমাদের কান্নাকাটি শুনে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
নীলফামারী ৬৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মামুনুল হক জানান, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে পত্র দেয়া হয়েছে। সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানোর প্রক্রিয়া চলছে। পতাকা বৈঠকের পর প্রকৃত তথ্য জানানো যাবে।
সূত্র: জাগো নিউজ…