ধলাই ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে প্রায়ই দেখা যেত, পরীমনি দুবাই অবস্থান করার চিত্র। তুহিন সিদ্দিকী অমির ফ্ল্যাটে পরীমনির ১৭ দিন থাকার কথা এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। ওই সফরে অমির বাসা ছাড়াও দুবাইয়ের সবচেয়ে অভিজাত ‘বুর্জ আল খলিফা’ টাওয়ারের হোটেল আরমানিতে ছিলেন পরীমনি।
টানা ৭ দিন অভিজাত হোটেলে ‘অ্যাম্বাসেডর স্যুটে’ অবস্থান করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এই অ্যাম্বাসেডর স্যুটের ভাড়া প্রতিদিন গুনতে হতো এক লাখ ৫৮ হাজার টাকা। বুর্জ আল খলিফা সফরে পরিমনি নগদ ১৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, গত ২৩ এপ্রিল থেকে দুবাইয়ের সেই ট্যুরে পরীর সঙ্গে ছিলেন দেশের একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। পরীমণির ব্যক্তিগত সহকারী আশরাফুল ইসলাম ওরফে দিপু ছিল তাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। দিপু ওই সফরের আয়োজন করে দিয়েছিলেন।
অমির সঙ্গে ঘোরাঘুরি ও সময় কাটানোর পাশাপাশি অনেকের সঙ্গে পরিচয়ের উদ্দেশ্যে দুবাই যান পরীমনি। তার দুবাই যাওয়ার বিমান টিকিট এবং ঘুরাফেরার সব খরচ বহন করেন অমি। শুধু অমি নয়, বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেশে-বিদেশে ঘুরতেন। পরবর্তীতে টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতেন।
পরীমনি নামের আড়ালে ঢাকা পড়া শামসুন্নাহার স্মৃতির চলচ্চিত্রে আগ্রহ তেমন ছিল না। মফস্বল থেকে ঢাকায় এসে টুকটাক মডেলিং ও টিভি নাটকই করছিলেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে শুরুতে রাজি না হলেও পরে নানার উৎসাহে নাম লেখান। প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ মুক্তির আগেই অন্তত ২০টি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান।
বুধবার বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যান র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।