মরক্কোর কাছে হারায় বেলজিয়ামে দাঙ্গা, আটক ১২

প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২২
সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট দল হিসেবে পা রেখেছিল বেলজিয়াম। ফিফা র‍্যাংকিংয়ে তাদের অবস্থান দুইয়ে। এছাড়াও দলে আছেন ইংলিশ লিগে খেলা কয়েকজন নামকরা তারকা। তারপরও বিশ্বকাপে সমর্থকদের আশা পূরণ করতে পারেনি বেলজিয়ানরা। সবশেষ ম্যাচে মরক্কোর কাছে হেরে যায় তারা। এতেই ফুঁসে ওঠেন সে দেশের সমর্থকরা।

বেলজিয়াম এখন বিশ্বেকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায়। মরক্কোর কাছে হেরে নকআউট পর্বে যাওয়ার কাজটা কঠিন করে ফেলেছে দলটি। আর এ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সমর্থকরা। দেশটির রাজধানী ব্রাসেলসে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধিয়েছে দিয়েছেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশদের ব্যবহার করতে হয়েছে জলকামান ও কাঁদুনে গ্যাসও।

রোববার দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে মরক্কো। ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মরক্কোর গতিময় ফুটবলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। আব্দেলহামিদ সাবিরি ও যোগ করা সময়ে জাকারিয়া আবুখলালের গোলে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে মরক্কো।

এ হারের পরই শত শত বেলজিয়াম সমর্থক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন। নিমেষেই হারের শোক দাঙ্গায় রুপান্তরিত হয়। তারা একের পর এক গাড়ি ও স্কুটারে আগুন লাগিয়ে দিতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে বাধ্য হয়ে মাঠে নামতে হয় বেলজিয়ান পুলিশকে। তাদের অভিযানে কমপক্ষে ১২ জন বিক্ষোভকারী আটক ও একজন গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

জয়ের পর কিছু মরক্কোর সমর্থক পতাকা গায়ে পরে উদযাপন করতে রাস্তায় নামেন। দেশটিতে প্রায় পাঁচ লাখ মরোক্কান বসবাস করেন। তখন বেলজিয়ামের সমর্থকরাও বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় ছিলেন। তখনই দুই পক্ষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামে শতাধিক পুলিশ।

এমন পরিস্থিতিতে সর্তকতা হিসেবে শহরের প্রাণকেন্দ্র পরিহার করে চলতে বলা হয় বাসিন্দাদের। মেট্রো স্টেশন ও রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কিছু স্থানে জনগণ ও যান চলাচল নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের কঠোর কার্যক্রমে রেগে গিয়ে পুলিশ স্টেশনেও হামলা চালিয়েছে তারা। তারা পূর্বাঞ্চলের শহর লিয়েজে পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়। দাঙ্গাবাজরা পুলিশ স্টেশনের জানালা ভেঙে ফেলে তারা। এমনকি তাদের দুটি গাড়িতেও ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে জলকামান ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে।