রাখালনৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হলো মহারাসলীলা

প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২১
ছবি ধলাইর ডাক

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: বর্ণাঢ্য আয়োজন এবং ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ও আদমপুরে মণিপুরি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী মহারাসলীলা উৎসব শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর থেকে রাখালনৃত্যের (গোষ্ঠলীলা) সাথে বাতাসা বৃষ্টিতে শুরু হয় মণিপুরি সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব মহারাসলীলা।

নৃত্য চলাকালীন সময় ভক্তরা মণ্ডপে বাতাসা ছিটিয়ে বাতাসা বৃষ্টি করেন। সেই বাতাসা আবার ভক্তরা কুড়িয়ে নেন। রাতে অনুষ্ঠিত হবে রাসোৎসব।
রাসোৎসব উপলক্ষে রাতে হাজারো মানুষের মিলনতীর্থে পরিণত হবে মাধবপুর জোড়া মণ্ডপ আর আদমপুরের মণ্ডপ এলাকা- এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের। গত বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব সীমিত পরিসরে করা হলেও এবার স্বাস্থ্যবিধি মনে বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ উৎসব।

সন্ধ্যায় মাধবপুর শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। পরে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাতে হবে শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলানুসরণ।

সাদা কাগজের নকশায় নিপুণ কারুকাজে সজ্জিত করা হয়েছে মণ্ডপগুলো। আর এ মণ্ডপগুলোতেই রাতে হবে রাসোৎসব। রাস উপলক্ষে সকাল থেকেই জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। আশপাশের এলাকার দর্শনার্থী তো আছেনই, সেই সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও এসেছেন অনেকে। সকলের উদ্দেশ্য মণিপুরি সম্প্রদায়ের রাসোৎসব উপভোগ করা। সময়ে সময়ে মানুষের সমাগম বাড়ছে। শিশু, কিশোর, নারী, পুরুষসহ সকল বয়সের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সমাগমে যখন কমলগঞ্জের মাধবপুর জোড়া মণ্ডপ প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পূর্ণ, তখন রাখালনৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সম্প্রদায়ের ১৭৯তম রাসোৎসব। ইতোমধ্যে মাধবপুরে রাসোৎসব পরিদর্শন করেছেন ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জাসওয়াল।

এদিকে উপজেলার আদমপুরেও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৩৬তম রাসোৎসব অনু্ষ্ঠিত হচ্ছে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান, রাসোৎসব উপলক্ষে পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।