স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের রাজনগরের খেয়াঘাটে সিএনজি চালকদের মারামারির জের ধরে কয়েকটি গ্রামের সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুলিশসহ ৩৫জন আহত হয়েছেন। এসময় খেয়াঘাট বাজারের ১২টিরও বেশি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। রাজনগর থানার পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
শনিবার (২০ মার্চ) সকাল ৯টার পর থেকে দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষ চলমান ছিল। রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাট বাজার এলাকার ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমানের দুই ভাতিজা নুর মিয়ার ছেলে কাজল ও দিলাল কাজের জন্য শাহপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। খেয়াঘাট বাজারে এসে কাজে যাওয়ার জন্য বেড়কুড়ি গ্রামের সিএনজি চালকের গাড়িতে উঠে। গাড়ি ছাড়তে দেরী হওয়ায় তারা অন্য গাড়িতে চলে যেতে চাইলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য খেয়াঘাট বণিক সমিতির সহ-সম্পাদক মাহমুদ মিয়া, সিএনজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবিদ আহমদ দিপু, দৌলত মিয়া, সুইট মিয়া সমাধানে বসেন। এসময় লুৎফুর রহমানের অপর ভাতিজা হেলাল মিয়া সমাধান না মেনে বিষযটি তারা পারলে দেখবেন বলে চলে যান। এর পরেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে উভয় পক্ষের গ্রামের লোকজন এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে একে অপরের দোকান ভাংচুর ও লুট করে। খবর পেয়ে রাজনগর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টাকালে রাজনগর থানার ওসি আবুল হাসিম, তদন্ত ওসি দেব দুলাল ধরসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। পরে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউল হক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ বিলাল, ফারুক আহমদ, ফতেহপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামি আহমদ ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।