ধলাই ডেস্ক: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আলো খান ওরফে আলম খানকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন ও পরকীয়া প্রেমিকা পাখি বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে পাখি বেগমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ গাজী রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আলো খান (৪৫) ওরফে আলম খান কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেচরি গ্রামের জেলেম খানের ছেলে এবং পাখি বেগম (৪০) একই এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী। রায় শুনে আদালতে ঘুরে পড়েন পরকীয়া প্রেমিকা পাখি বেগম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেচরি গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী পাখি বেগমের সঙ্গে তিন বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী আলো খানের। এ ঘটনার জের ধরে ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে আলো খান স্ত্রী বিউটি বেগমকে (৪০) গলা টিপে হত্যা করেন।
পরে বাড়ির পাশের একটি কচুক্ষেতে স্ত্রীর মরদেহ ফেলে দেন আলো। এ ঘটনায় বিউটি বেগমের ভাই ফোরকান বাদী হয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি আলো খান ও তার পরকীয়া প্রেমিকা পাখি বেগমকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওই বছরের ১০ অক্টোবর কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইউনুস মিয়া তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আলো খানকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন ও পাখি বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খায়রুল আলম সরফরাজ।
সূত্র: জাগোনিউজ…