আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিক্ষোভের ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর লাইভ টিমের তিন সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে আটক হওয়া এই সংবাদকর্মীদের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভের ঘটনা সরাসরি সম্প্রচারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন তারা।
গত ২৫ মে দেশটির মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপোলিসে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করলে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়।
কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন ফ্লয়েড। এই হত্যাকাণ্ডের একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের এক ভিডিওতে দেখা যায়, হাঁটু দিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ব্যক্তি নিরস্ত্র ছিলেন। নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে শুধু স্থানীয়রা রাস্তায় নামলেও পরবর্তীতে দেশজুড়েও প্রতিবাদের ঢল নামে।
এদিকে বিক্ষোভে এখনো উত্তাল মিনিয়াপোলিস শহর। ওই বিক্ষোভের খবর লাইভ করছিল সিএনএন। সরাসরি সম্প্রচার চলার মধ্যেই সিএনএন-এর সাংবাদিক ওমর জিমেনেজকে আটক করা হয়। তবে গ্রেফতার হওয়ার আগেই কর্মকর্তাদের কাছে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করেছিলেন তিনি।
ওমর জিমেনেজের সঙ্গে একজন প্রোডিউসার ও একজন ক্যামেরা অপারেটরকেও আটক করে হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়। সিএনএন-এর ক্যামেরাও কেড়ে নেয় পুলিশ। তবে কেড়ে নেয়া অবস্থাতেও ক্যামেরা সচল ছিল। তবে পুলিশ তা খেয়াল করেনি।
এ ঘটনার পর পরই মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আটক হওয়া সংবাদকর্মীদের ছেঁড়ে দেয়া হয়।
এদিকে সংবাদকর্মীদের হেনস্থার ঘটনায় মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজ দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।