শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণার পরও বিদ্যুৎ বঞ্চিত রয়েছে কমলগঞ্জের ৮টি গ্রাম ঃ টাকা দিয়েও মিলছেনা সংযোগ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলাকে সম্প্রতি শতভাগ বিদ্যুতায়িত ঘোষণা করা হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়িত ঘোষনার পর ও উপজেলার ৮টি গ্রামের প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার এখনো অন্ধকারে রয়েছে। বিদ্যূৎ সংযোগের দাবীতে উল্লেখিত গ্রামবাসীরা বিচ্ছিন্ন ভাবে মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচী পালন করছেন।
জানাযায়, ১২ফের্রুয়ারী গণ ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমলগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত ঘোষণা করা হয়।
তথ্যসুত্রে জানাযায়, ইসলামপুর ইউপির সীমান্তবর্তী প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে আদমপুর বনবিট এলাকায় ৯৫টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা কালেঞ্জী খাসিয়া পুঞ্জি। খাসিয়া পুঞ্জির বাইরে বস্তি এলাকায় আরো ৬০ পরিবার নিয়ে কালেঞ্জী গ্রাম। একই ইউপির কলাবন,কুরমাপুঞ্জি তৈলংবাড়ী বস্তি এবং মাধবপুর ইউপির পারুয়াবিল ,মাঝেরছড়া, পারুয়াবিল ২ নং লাইন,সাওতালপাড়া গ্রামের প্রায় আরো দেড়শতাধিক পরিবার বিদ্যুতায়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বিদ্যুতায়ন না থাকার কারনে এসব এলাকায় রাতের বেলায় ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে। এছাড়া বিদ্যুৎ না থাকার কারনে ঐসব এলাকার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগেও বিদ্যুতায়ন না পৌঁছার কারনে উল্লোখিত গ্রাম সমুহের মানুষরা আদিম যুগে অবস্থান করছেন । বিদ্যূতায়নের দাবীতে গত ৪ জুলাই কালিঞ্জিপুজি ও বস্তি বাসীর মানুষরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। অপরদিকে বিচ্ছিন্ন ভাবে অন্য গ্রাম গুলোর মানুষরা পৃথক পৃথক ভাবে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করেছেন। অনেক এলাকায় ৪ থেকে ৫ বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগ এর জন্য টাকা পয়সা দিয়েও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন না। মাধবপুর ৮নং নতুন লাইনের ইন্দ্রজিৎ মহাড়া,লিলতি ভর, রানা সিং, দয়া কায়াস্ত, ময়না মিযা, মিন্টু সাওতাল,উত্তম নুনিয়া বিকাশ পাশি,হেমন্তি করি অভিযোগ করে বলেন, ৪ বছর আগে ২০১৬ সালে স্থানীয় ভরত বোনার্জি,অনন্তলাল চৌহান,বাবুল বাক্তি, দাদু পাশিদের হাতে আমরা ৪ হাজার টাকা করে বিদ্যুতের জন্য জমা দিয়েছি। আমাদের এই ৮নং নতুন লাইনে ৬৪ টি পবিারের টাকা নেয়া হলেও মাত্র ১৪ টি পরিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে, বাকি ৫০টি পরিবার ৪ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আমরা বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত রয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভরত বোনার্জি, অনন্তলাল চৌহান, বাবুল বাক্তি, দাদু পাশিরা টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলে আমরা সম্পুর্ন টাকা তুলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিয়েছি অমাদের কাছে তার রিসিটও রয়েছে। খাঁসি (খাসিয়া) পুঞ্জি হেডম্যান রিটেঙেন ঘেরিয়েম বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারনে শিক্ষার্থী সহ গভীর জঙ্গেলে নানা সমস্যার কারণে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী গণেশ চন্দ্র দাশ বলেন, আমাদের প্রায় ২৪৩ টি গ্রামেই বিদ্যূতায়ন করা হয়েছে। এক গ্রামের মধ্যে ১টি খুঁটি গেলেই আমরা পুরো হিসাবে আনি। যে সব স্থানে এখনও বিদ্যুৎ যায়নি তা পারিবারিক ও বন বিভাগের বাঁধার কারনে সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি।