শেষ সময়ে কমলগঞ্জে প্রসাধনীর দোকানে ভীড় বেড়েছে নারীদের

প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার: ইতোমধ্যে অনেকেরই ঈদের নতুন পোশাক কেনা হয়েছে। এখন সেগুলোর সঙ্গে ম্যাচিং করে অন্যান্য সাজসজ্জা সামগ্রী কেনাকাটার পালা। তাই কেউ ছুটছেন ওড়না-হিজাবের দোকানে, আবার কেউ ব্যস্ত প্রসাধনী কিংবা গয়না কিনতে। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে বাহারী পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। পোশাকের সাথে মিল রেখে নারীরা কিনছেন গলার মালা, চুড়ি, কানের দুল, পায়েলসহ বাহারী ডিজাইনের গহনা। ঈদের দিন নিজেকে আকর্ষণীয় করে সাজাতে নেইল পালিশ, লিপস্টিক, কাজল, মাশকারা, আইলাইনারের তুলনা নেই। তাই বিভিন্ন দোকান ঘুরে নিজের পছন্দের ব্র্যান্ড থেকে রুপসজ্জার প্রসাধনী কিনছেন নারীরা। বাদ যাচ্ছে না বডি স্প্রে, পারফিউমসহ বিভিন্ন সুগন্ধীও।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে ভানুগাছ পৌর বাজারে ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। এছাড়া মার্কেটের সামনে ফাঁকা জায়গায় বসেছে মেহেদীর দোকান।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলহামদুলিল্লাহ এখন মার্কেটে ভিড় বেড়েছে, নারী ক্রেতা বেশি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি অনেকটা বেশি।

জুয়েল গিফট এর স্বত্বাধিকারী মো: জুয়েল আহমেদ বলেন, শেষ মুহূর্তে এখন সবাই পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে গহনা কিনছে। তাই বেড়েছে বেচাবিক্রি।

ব্যবসায়ী সওকত আহমেদ বলেন, বিক্রি ভালই হচ্ছে, পুরুষদের চাইতে নারীদের উপস্থিতি অনেক বেশি। মেসার্স বখতিয়ার সু-ষ্টোরের মালিক বলেন- আমরা অনেক খুশি, বিক্রি ভালই হচ্ছে।

সামিয়া জান্নাত নামের এক ক্রেতা বলেন, দুদিন আগেই জামা কিনেছি। সেগুলোর সঙ্গে ম্যাচিং করে কিছু কসমেটিকস কিনতে এসেছি।

পৌর এলাকার নছরতপুর থেকে আসা পারভীন সুলতানা নামে এক ক্রেতা বলেন, ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে এসেছি, আমার দুই মেয়ের জন্য কসমেটিক, আমার জন্য একটি ব্যাগ এবং আমার ছেলের জন্য একটি বেল্ট কিনলাম। জামাকাপড় আগেই কেনা শেষ। সবকিছুই পছন্দের মধ্যে পেয়েছি, খুব ভালই লাগছে। সবাইকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা।