ধলাই ডেস্ক: সিগারেট না পেয়ে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করেছেন সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক। বুধবার (২৭ মে) সকালে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের আলিম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে হঠাৎ করে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে মারধর শুরু করেন সাইফুল। একই সঙ্গে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন তিনি। এ অবস্থায় রাতেই তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে তাকে ঘুমের ইনজেকশন দেয়া হয়।
বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে নার্সদের কাছে সিগারেট চান সাইফুল। কিন্তু নার্সরা তাকে সিগারেট দেননি। সিগারেট না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের বেড ও ইমারজেন্সি রুমের জানালার গ্লাস ভাঙচুর শুরু করেন সাইফুল। পরে দৌড়ে বাইরে এসে হাসপাতালের পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝেমধ্যে স্বাভাবিক থাকেন আবার মাঝেমধ্যে এমন কাণ্ড ঘটান।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, ওই যুবক ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে হাসপাতালের মূল্যবান জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পিবিআইয়ের গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হাই সরকার বলেন, ওই যুবক ঢাকার রামপুরার পিবিআই অফিসে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় গ্রেফতার করা হয়নি। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এখন স্বাভাবিক আছে।
সূত্র: জাগো নিউজ…