সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজের সঙ্গে ইমরানের বৈঠক

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ ও প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

মঙ্গলবার রিয়াদে পৌঁছেই তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে ইমরান দুই দেশের চিরবৈরী সম্পর্কের অবসান ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে রোববার ইরান সফর করেছিলেন ইমরান খান। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলছে, ইমরান খান কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক সঙ্কট শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের জন্য সৌদির ক্ষমতাসীন রাজপরিবারকে পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে তার পরামর্শে সৌদি বাদশাহ কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিবৃতিতে তা জানানো হয়নি।

অতীতেও পাকিস্তান প্রায় চারবার সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের বৈরী সম্পর্কের বরফ গলানোর চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফ সৌদি-ইরানের উত্তেজনা প্রশমনে রিয়াদ ও তেহরান সফর করেছিলেন। ওই সময় শিয়া নেতা বাকির আল নিমরকে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তার উদ্যোগ হিসেবে ইমরান খান দুই দেশ সফর করেছেন।

সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের বৈরী সম্পর্কে ইতিহাস বেশ পুরনো। বিশেষ করে ২০১৫ সালে ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে দুই দেশের বিপরীতমুখী সম্পর্ক আরো জটিল আকার ধারণ করে। পরে এই সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে গত মাসে; যখন সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি তেল স্থাপনায় ভয়াবহ ড্রোন হামলা হয়।

চিরবৈরী এ দুই দেশের মাঝে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই সংঘাত শুরু হলে শুধুমাত্র উপসাগরীয় অঞ্চলে নয় প্রতিবেশি অন্যান্য অঞ্চলেও এর প্রভাব পড়তে পারে। পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ একাধিকবার সৌদি-ইরান উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়।

তবে গত মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ ব্যাপারে প্রথমবারের মতো কথা বলেন। ওই সময় তিনি বলেন, এই অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তা করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

নিউইয়র্কে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে এই ইস্যুতে কথা বলেন ইমরান খান। সূত্র : ডন নিউজ