ডেস্ক রিপোর্ট: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে মাছের ঘেরে ফেলে গেছে ধর্ষক। শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের পশ্চিম যুগিয়া গ্রামের তারাকান্ত রায়ের মাছের ঘেরে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণে সহায়তার ঘটনায় গৌতম শিকারী (২০) নামে এক যুবককে রোববার দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত গৌতম শিকারী উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের পশ্চিম যুগিয়া গ্রামের গৌর শিকারীর ছেলে।
নাজিরপুর থানা পুলিশের ওসি মো. জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণে সহায়তাকারীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, তিনি ও তার স্ত্রী ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার মেয়ে উপজেলার পশ্চিম যুগিয়া গ্রামে দাদা-দাদির কাছে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে একই গ্রামের গৌর শিকারীর ছেলে গৌতম শিকারী ও রবিন শিকারীর ছেলে রমেন শিকারী মেয়ের মুখে গামছা বেঁধে কান্তরায়ের মাছের ঘেরে নিয়ে যায়। সেখানে রমেন শিকারী মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় তারা। মেয়েকে ঘরে না পেয়ে দাদা-দাদি স্থানীয়দের সহায়তায় খোঁজাখুঁজি করে রাত ১২টার দিকে ওই ঘের থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করেছি। ধর্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই আমি।