তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: কোভিড-১৯ এর কারণে মানুষ যখন বন্ধুবান্ধব ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নভাবে জীবনযাপন করছে তখন যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ হয়ে উঠেছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
এই পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ডাক্তার, শিক্ষক ও দূরবর্তী প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ করছে। তাই আপনার সব বার্তা এবং কলগুলোর গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে হোয়াটসঅ্যাপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত মেসেজিং সার্ভিস হিসেবে আমরা চ্যাটগুলোর গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছি। উদাহরণস্বরূপ, মেসেজগুলো ভুল মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে ফরোয়ার্ডকৃত মেসেজগুলোর জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করার ফলে বিশ্বব্যাপী অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজ ফরোয়ার্ড হ্রাস পেয়েছে ২৫ শতাংশ।
কিন্তু সব ফরোয়ার্ডকৃত মেসেজই ভুয়া নয়। অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, মজার ভিডিও, মিম এবং যে দোয়াগুলো তাদের কাছে অর্থবোধক বলে মনে হয় সেগুলো ফরোয়ার্ড করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবহারকারীরা ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জনসমর্থন পাওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে। তবে ফরোয়ার্ডিংয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা ব্যবহারকারীদের কাছে কখনো কখনো বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভুল তথ্য ছড়াতে ভূমিকা রাখছে।
এই পরিবর্তন ছাড়াও মানুষ যাতে সঠিক তথ্য পেতে পারে সেজন্য এনজিও এবং স্থানীয় সরকারের সাথে সরাসরি কাজ করছে এমন ২০টিরও বেশি জাতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যুক্ত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই বিশ্বস্ত মাধ্যমগুলো সেসকল আগ্রহী ব্যবহারকারীদের সরাসরি তথ্য ও পরামর্শ সম্বলিত মেসেজ প্রেরণ করেছেন। কীভাবে ভুয়া তথ্য ও গুজব করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাব-এর ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলোর কাছে রিপোর্ট করতে হবে সে সম্পর্কেও জানতে পারেন।