কমলগঞ্জে ইমামের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মুসল্লী ও গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২১
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নছরতপুর জামে মসজিদের ইমাম শফিউল ইসলাম এর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসীরা শুক্রবারবাদ জুম্মা নছরতপুর মসজিদ প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে মুসল্লীরা ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ইমামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়।
নছরতপুর মসজিদ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম হিরার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রভাষক নজরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৬ জুন কমলগঞ্জ পৌরসভার নছরতপুর গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো: শফিউল ইসলাম কে একই গ্রামের আব্দুস সালাম মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ রহস্য জনক ভাবে কোন তদন্ত ছাড়াই আটক করে জেলে প্রেরণ করে যা অতিশয় দুঃখজনক ঘটনা। লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, মাওলানা মো: শফিউল ইসলাম প্রায় ৫ বছর যাবৎ নছরতপুর জামে মসজিদে ইমামতি করে আসছেন। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ও সহজ সরল ব্যক্তি হিসাবে সবার কাছে গ্রহণ যোগ্যতা অর্জণ করতে সক্ষম হন। তার জনপ্রিয়তায় গুটি কয়েক লোকের হিংসার কারণ হয়ে উঠেছিলেন। গত বুধবার মসজিদের মক্তব চলাকালীন সময়ে ছাত্রীকে প্রহার করার ঘটনা কে কেন্দ্র করে একি গ্রামের আব্দুস সালাম রহস্য জনক ভাবে কারো ইন্ধনে মসজিদ কমিটি ও এলাকার ব্যক্তিবর্গ কে অবগত না করেই কমলগঞ্জ থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার সাথে সাথেই পুলিশ কোন তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই দ্রæততার সাথে ইমাম কে তার অপর কর্মস্থল কুশালপুর নুরানী মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে মৌলভীবাজার কোর্টে প্রেরন করে।

আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ, নিরপেক্ষ তদন্তের পাশাপাশি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নছরতপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল মালিক, সাবেক মোতাল্লি আয়ুব আলী, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, প্রবীন মুরব্বী আয়ুব আলী মাষ্টার, হেলাল মিয়া, জাবের আহমদ মিন্টু, তাজুল ইসলাম সোহেল, কবির উদ্দিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বাদীর দেয়া স্বাক্ষী তারই বড়ভাই শওকত আলি বলেন, শ্লীলতাহানির বিষয়টি আমি জানিনা আমাকে আমার ভাই স্বাক্ষী করেছে । এতে বুঝা যায় বাদী এজাহারে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন।