কমলগঞ্জে গরুসহ চোরকে থানায় দেওয়ায় দুই গ্রামবাসীর মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া! পুলিশ মোতায়েন

প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২১
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চোরাই গরু সহ এক গরু চোরকে ধরে থানায় সোপর্দ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, উপজেলার তিলকপুর দয়াময় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের একটি গরু গত সোমবার চোর নিয়ে যায়। চুরি যাওয়া একদিনের মাথায় মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে মাধবপুর ইউনিয়নের ধলাইপাড় গ্রামের মিলন মিয়া নামের একজন গরু নিয়ে ভাষানীগাঁও যাওয়ার সময় দোকানে বসা স্থানীয় লোকজন গরু কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে মিলন জানায় গরুটি বিক্রয় করবে। গরুর দাম কত জিজ্ঞেস করলে সে দাম বলে তাতে লোকজনের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। একপর্যায় লোকজনের জেরার মুখে মিলন মিয়া স্বীকার করে বলে গরুটি চুরি করে আনা হয়েছে। ঘটনাটি জানা জানি হলে ধলাইপাড় গ্রামের লোকজন গিয়ে ভাসানীগাঁও গ্রামে গিয়ে মিলনকে মারধর না করার অনুরোধ করে বলে সে একজন মানষিক রোগি। এ নিয়ে একপর্যায় ভাসানীগাঁও গ্রামের স্থানীয় ব্যবসায়ী ওয়াহিদ মিয়ার ছেলের সাথে ধলাইপাড় গ্রামের কাবিল মিয়া জামাল ও হৃদয়ের নামের একজনের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরে কাবিলরা তাদের গ্রামে চলে যায়, তখন থেকেই উভয় গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এ ঘটনার জের ধরে বিকাল ৫টায় ভাসানীগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলাম, সাজু আহমেদ, হৃদয় আহমেদ ভানুগাছ থেকে বাড়ি ভাসানীগাঁও ফেরারপথে ধলাইপারের লোকজন তাদের আটকিয়ে মারধর করছে এমন খবর গ্রামে পৌছামাত্র দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যেই উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

পরে খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার পুলিশের এসআই সিরাজুল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে খবর দিলে কমলগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার ফজলে এলাহীর নেতৃত্বে আরো একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কারো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তাছাড়া দুই গ্রামবাসীর মাঝে আর যেন উত্তেজনা সৃষ্টি না হয় সে জন্য পুলিশ কড়া নজরদারী করছে।