কমলগঞ্জে বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। টানা বৃষ্টিপাতে শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর হালকা রোদের আলো দেখা গেলেও পুনরায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ফলে নিম্ন আয়ের লোকদের চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। তাছাড়া ঠান্ডায় শিশুদের নানা রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

চা বাগান ও বনাঞ্চল অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলা। এখানে বিভিন্ন সময়ে ঠান্ডার প্রকোপ দেখা দেয়। ভর শীতের সময় শুক্রবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত নামে। বৃষ্টিপাতের ফলে দিন আনে দিন খায় এমন লোকদের চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। আকষ্মিক বৃষ্টিপাত দেখা দেয়ায় দিনমজুর ও বাসাবাড়ি থেকে লোকজন বের হতে পারেনি। শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

দিনমজুর দেওরাজ রবিদাস, অনুরোধ রবিদাস, মানিক মিয়া বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে দৈনিক ভিত্তিতে রোজগার করলেও শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত থাকায় কোথাও বের হওয়া সম্ভব হয়নি। একদিন রোজগার না করলে খাবার দাবার নিয়ে টানাপোড়েন করতে হয়। সিএনজি-অটোরিক্সা চালক মশাহিদ মিয়া, শুকুর আলী, রতন পাল বলেন, শুক্রবার গাড়ি নিয়ে বের হলেও বৃষ্টিপাতের কারণে মানুষের কোন উপস্থিতি খুবই কম ছিল। রাস্তাঘাট ও হাটবাজার সমুহ ফাঁকা দেখা যায়।

শমশেরনগরের কৃষক ইউনুস মিয়া, আলমীর হোসেন বলেন, শীতের সময়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে মৌসুমী শাকসবজির কিছুটা উপকৃত হবে। তবে আরও কিছু বৃষ্টিপাত হলে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ নানা ধরণের শাকসবজি বিনষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।

শমসেরনগর চা বাগানের শ্রমিক ফুলমতি, লছমি, আলীনগরের হরিনারায়নসহ চা শ্রমিকরা বলেন, হাজরি ঠিক রাখতে বৃষ্টির মধ্যে ভিজেও কাজ করতে হয়েছে। কাজ না করলে হাজরি উঠবে না আর তাতে সপ্তাহে মজুরির টাকা কমে যাবে।

এদিকে ঠান্ডায় শিশুদের মধ্যে নানা ধরণের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। হাসপাতাল ও প্রাইভেট চেম্বারের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, শীতে বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস এসব রোগের প্রদুর্ভাব বাড়ছে। তাছাড়া বৃষ্টিপাতের ফলে ঠান্ডার পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলে শিশুদের মধ্যে আরও বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার। তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।