কমলগঞ্জে ২ চালকের মধ্যে হাতাহাতি ঃ ট্রাক্টর চালকের ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
ফাইল ছবি

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগান এলাকায় রাস্তায় পাস দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে এক সিএনজি অটোরিক্্রা চালকের সাথে ট্রাক্টর চালকের হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ট্রাক্টর চালকের বড় ভাই নুরুল ইসলাম (৫৫)। মঙ্গলবার রাত ৮টায় মাধবপুর চা বাগান মসজিদ লাইনে এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, রাস্তায় পাস দেওয়া নিয়ে সিএনজি অটো চালক মিঠুন নুনিয়ার (২৮) সাথে ট্রাক্টর চালক নুরুর ইসলামের বাকবিতন্ডা হয়েছিল। এক পর্যায়ে সিএনজি অটো চালক মিঠুন নুনিয়ার লাটির আঘাতে নুরুল ইসলাম গুরুতরভাবে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম মারা গেছেন তবে কারো লাঠির আঘাতে নয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর রাস্তায় পাস দেওয়া নিয়ে সিএনজি অটোরিক্্রা চালক মিঠুন নুনিয়ার সাথে নিহত বৃদ্ধের ছোট ভাই আব্দুল খালিকের হাতাহাতি হয়েছিল। ঘটনার পর বৃদ্ধের ছেলে জাবেদ মিয়া ও ভাই আব্দুল খালিক থানায় এসে কোন অভিযোগ না দিয়ে হৃদরোগে তার (নুরুর ইসলামের) মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।

তারা পুলিশ কর্মকর্তার কাছে দাবি জানান ময়না তদন্ত ছাড়া যাতে লাশ দাফন করা যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান সরেজমিন তদন্ত করে নিহতের পরিবার সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এরপরই ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বৃদ্ধের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার পরিবার সদস্যরা তা জানিয়ে কোন প্রকার অভিযোগ না দিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুরোধ জানিয়েছেন।