
ডেস্ক রিপোর্ট: ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে কৃষি ও এর উপখাতগুলোতে সরকারের বরাদ্দ ও বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার প্রস্তাব হিসেবে মোট ৫০ দফা সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি সম্মেলনকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
সুপারিশমালার মধ্যে মূল কৃষির জন্য ১৭, পোল্ট্রি শিল্পের জন্য ১০, মৎস্য খাতের জন্য ১৩ এবং প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ শল্পের জন্য ১০ দফা সুপারিশালা তুলে ধরা হয়।
বেশি গুরুত্ব পাওয়া সুপারিশের মধ্যে রয়েছে ধানের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকারের সরাসরি ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয়ের ব্যাপারে উদ্যোগকে আরও বাস্তবমুখী প্রয়োগ করা, পরিবর্তিত জলবায়ু মোকাবিলা করে কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে শস্যবীমা স্থায়ীভাবে চালু করা, দেশে ভরাট হয়ে যাওয়া নদী ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা, কৃষিপণ্যের উন্নত ও আধুনিক বাজার ব্যবস্থা চালু করা, সরকারের বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা এবং বীজের মান নিশ্চিত করা, কীটনাশক আমদানি, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, কৃষির যান্ত্রিকীকরণে কৃষককে আরও অভ্যস্ত করে তোলা এবং আমদানিকৃত কৃষি যন্ত্রপাতির ওপর ভর্তুকি ও শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখা এবং পোল্ট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়ানো, বীমাব্যবস্থা চালু করা এবং এ খাতের বিদ্যুৎ বিল ও ঋণপ্রদানে কৃষিখাতের অনুরূপ সুযোগ সুবিধা প্রদান করা। বিশেষ করে ক্ষুদ্র খামারিদের বাঁচাতে পোল্ট্রি নীতিমালা মাঠ পর্যায়ে কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, চাল আমদানি বন্ধ করা হবে। সেই সঙ্গে দেশে উদ্বৃত্ত চাল রফতানি করতে প্রয়োজনে ভর্তুকি দেয়া হবে।
২০০৬ সাল থেকে উন্নয়ন সাংবাদিক শাইখ সিরাজ জাতীয় বাজেট সম্পর্কে কৃষকদের অধিকার সচেতন করে তোলা এবং বরাদ্দ, প্রত্যাশা ও চাহিদা নিরূপণের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রাক-বাজেট আলোচনার আয়োজন করে আসছেন।