বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: অবশেষে সেই সাংবাদিকের মরদেহ পেলো পরিবার

প্রকাশিত: ২:২৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২৪

ধলাই ডেস্ক: বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। এতে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়েও জটিলতা দেখা দেয়। পরে অবশ্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষার পর মেয়ে দাবি করা তার বাবা-মায়ের কাছেই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত ঐ সাংবাদিককে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে চিনতেন তার সহকর্মীরা; ফেসবুকেও তার একই নাম পাওয়া যায়। মন্দিরে গিয়ে তিনি নিয়মিত পূজা অর্চনাও করতেন বলে জানা যায়।

সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার মরদেহ হস্তান্তরের তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে একজন নারী সাংবাদিক ছিলেন। ঐ সাংবাদিক কর্মক্ষেত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত।

তবে তার মৃত্যুর খবর দেখে মরদেহ নিতে আসেন কুষ্টিয়ার সবুজ শেখ নামে একজন। তিনি নিজেকে অভিশ্রুতির বাবা বলে পরিচয় দেন এবং দাবি করেন অভিশ্রুতি মুসলিম এবং তার আসল নাম বৃষ্টি খাতুন।

ফলে ঐ সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। জটিলতা তৈরি হয় মরদেহ হস্তান্তর নিয়েও। তবে, কুষ্টিয়ার সবুজ শেখ ছাড়া ঐ নারীর মরদেহ নিতে অন্য কেউ আসেননি।

পরিচয় নিশ্চিত হতে শুক্রবার ঐ সাংবাদিকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম।

এনআইডি অনুযায়ী, ঐ সাংবাদিকের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী তার পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে।