মানবতাবিরোধী অপরাধ ময়মনসিংহের ৩ রাজাকারের আমৃত্যু কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ৩ রাজাকারকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ে পাঁচজনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একজনকে দেয়া হয়েছে খালাস।

বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আমীর হোসেন ও আবু আহমেদ জমাদার।

আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এ এফ এম ফয়জুল্লাহ (পলাতক), আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল (পলাতক)।

২০ বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আলিম উদ্দিন খান (পলাতক) ও সিরাজুল ইসলাম তোতা। আর খালাস পেয়েছেন আব্দুল লতিফ।

এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, সাহিদুর রহমান, জাহিদ ইমাম, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস শুকুর খান ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান জানান, গফরগাঁওয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১১ জন। মামলায় ২০১৮ সালের ৪ মার্চ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। তবে বিচার চলাকালীন মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার ও পলাতক থাকা অবস্থায় নুরুল আমিন শাজাহানের মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এরমধ্যে চারজনকে হত্যা, ৯ জনকে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।